স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেমন হওয়া উচিত
আমাদের সমাজে মানুষ পরিবারকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়, দেওয়াই উচিত। আর এই পরিবার গঠিত বিয়ের মাধ্যমে। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সঠিক বোঝাপড়াই পারে সংসারে সারাজীবন সুখের পরশ ধরে রাখা। স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়েই আমাদের অনেক প্রশ্ন মাথায় আসে, চলুন দেখে নেইঃ
একজন মানুষ কিভাবে পরিবারকে সুখী করতে পারে?
পরিবারকে সুখী করতে বেশি কিছু করার দরকার হয় না, মানুষের অনেক ভালো কাজ করার উপর নির্ভর করে পরিবারের সুখ। পরিবারের মধ্যে স্বামী/স্ত্রী একে অপরকে ভালোবাসা, বিশ্বাস, ছাড় ও আপন করে নেওয়ার মানুসিকতা থাকতে হবে। সন্তানদের ভালোভাবে গড়ে তুলতে হবে। পরিবার ও পেশা সব সময় আলাদা রাখতে হবে। এক করা যাবে না, স্ত্রীকে সময় দিতে হবে ভালো লাগা, খারাপ লাগার বিষয়গুলিকে মানিয়ে নিতে হবে। আর্থিকভাবে সচ্চলতা থাকার ব্যবস্থা করা ও সঠিক মানুসিকতার মাধ্যমেই একজন মানুষ পরিবারকে সুখী করতে পারে। স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক হবে দেওয়া ও পাওয়ার মধ্যে নয়, হতে হবে নিঃস্বার্থ।
কেমন থাকবে পরিবারে স্বামী ও স্ত্রীর সম্পর্ক ?
আমাদের সমাজে মেয়ের অনেক দোষ মাফ করে দেয় কিন্তু একই দোষ কি স্ত্রী করলে মাফ করতে পারিনা। মেয়েকে মাফ করতে পারলেই স্ত্রীকে কেন মাফ করতে পারবোনা। ছেলেকে মাফ করতে পারলে কেন ছেলের বাবাকে মাফ করতে পারবোনা। এভাবে ভাবতে পারলে দেখবেন যে আপনারা সত্যিকারের সুখী পরিবার গঠন করে পারবেন। আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আমার সমস্যা হল বোঝাপড়ার অভাবে। সে আমাকে বুঝতে পারে না। এবং বুঝতে চায় না। বেছে বেছে সে আমার অপছন্দের কাজ গুলোই করে। এ নিয়ে কিছু বলতে গেলে ঝগড়া বেধে যায়। ফলে আমি খুব মানসিক দ্বন্দে আছি।
আপনার স্ত্রী আপনাকে বুঝবে এটাই সবাই সব সময় চায়। আমাকে বোঝার আগে আমি তাদের বুঝব এই দৃষ্টিভঙ্গি অর্থাৎ মমতা সহমর্মিতার দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা ধারণ করতে পারিনা। আপনার স্ত্রীর প্রতি যদি সহমর্মী হতে পারতেন , যদি বুঝতে চাইতেন কেন তিনি সবসময় আপনার অপছন্দের কাজগুলো করেন তাহলেই দূরত্ব থাকত না। তার প্রতি আপনার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও দেয়ার মনোভাব থাকলে কখনোই এই দ্বন্দ্ব চলতে পারত না। কারণ নিঃস্বার্থ ভালবাসার শক্তি এমন যেটা অপর পক্ষের মধ্যে ভালো সরল শক্তিকে জাগ্রত করে। আর এটা তখনই সম্ভব যখন মানুষটিকে আপনি তার আচরণ থেকে আলাদা করতে পারবেন। তাই স্ত্রীকে মমতা ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখুন বুঝতে চেষ্টা করুন, দেখবেন এটা তাকে স্পর্শ করবে।
তখন এমন প্রতিদান পাবেন যে,আপনি কল্পনাও করেননি। যখন দুই তরফ থেকেই ভালবাসা নিঃশর্ত হয় তখনকার তো যে আনন্দ, তা কোনো যুক্তির নামা দিয়ে অর্জন করা সম্ভব নয়। অনেকেই বলে থাকে আমার স্ত্রী আমার কথার বাধ্য নয়। আমার স্ত্রীর কাছে আমি শান্তি পাই নি।
আমি কি করবো?
স্ত্রী তো আপনার সার্ভেন্ট নয়, তিনি আপনার জীবনসঙ্গী। তাকে বাধ্য করার তো কোনো প্রয়োজন নেই। স্ত্রীর সাথে মমতা দিয়ে কথা বলবেন যেন, তিনি আনন্দের সাথে আপনার অনুরোধের কাজটা করেন। কারণ মমতাপূর্ণ কথা সবাই শুনে কিন্তু আপনি যদি মনে করেন, আপনাকে কর্মচারীর যেভাবে শাসন দিয়া কাজ করেন, সেভাবে তাকে করাবেন তাহলে ভুল করবেন। ভালোমত একে অপরকে আপন করতে পারলেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হবে মধুর।
পরিশেষেঃ
ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ পারে সংসারে সুখ নিয়ে আসতে। আর এইটা হতে হবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সঠিক হলে। পরিবারে দুজনের মিলবন্ধনের কারণেই আসে সুখ। তাই এই সুখের দিকে নজর দিতে হবে। দরকার হলে করতে হবে দুজনের কিছু ত্যাগ। আরো পরতেঃ