প্রেম করে বিয়ে:
প্রেম বা প্রেমের বিয়েকে সাফল্যে প্রধান অন্তরায় কখনই বলা যাবে না। আমরা যেটা পছন্দ করি সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থী জীবনের জন্য। কারণ মা বাবা যখন আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পাঠাচ্ছেন প্রেম করার জন্য নয় জ্ঞান অর্জনের জন্য পাঠাচ্ছেন।কিন্তু আপনি ক্লাস পড়াশোনা বাদ দিয়ে ফুচকা খাচ্ছে সিনেমা দেখতে চাই এখানে সেখানে ঘুরছে পড়াশোনার দিকে আপনার আর্ মন থাকছে না এক কথায় মন বসেনা পড়ার টেবিলে।
ফলে আপনি ভালো লাগার নাম করে প্রেম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
অর্থাৎ তাকে ছাড়া কোন কিছুই ভালো লাগছে না আর। সারাক্ষণ তোমার কথা চিন্তা করছেন। এমনভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে না আপনার মূল লক্ষ্য তে পড়াশোনা সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ বা পারিবারিক সম্পত্তির বিয়ে - এক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব পরিষ্কার।
বৃহৎ ব্যাপার ছেলে বা মেয়ের পছন্দ হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এটা হচ্ছে প্রথম পয়েন্ট। দ্বিতীয় পয়েন্ট হচ্ছে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল টা সমান হতে হবে।
মেয়ে বোরকা পড়ে অথবা ছেলে নাট্যকর্মী।দুজনের সামাজিক স্তর যদি সমান হয় সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ভিন্ন হওয়ার কারনে তারা তো বিয়ের পর তিনি চাইবেন যে মেয়ে বোরকা ছাড়ুক।
এখানে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে মেয়েটি মানিয়ে নিতে পারবে না।
আর কিছুদিন সাথে চললে পরস্পরকে চেনা যায় এটাও ভুল ধারণা। প্রেমের সম্পর্ক হচ্ছে মেয়ে কি সম্পর্ক। শুধু একজন আরেকজনকে খুশি করার প্রশংসা করার সম্পর্ক।
এই সম্পর্কের কোনো দায়দায়িত্ব নেই।আপনি ছয় মাস হোটেলে হোটেলে থাকুন ভালো ভালো রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করুন দেখুন চিনতে পারেন কিনা। পারবেন না। ওই সম্পর্কটা হচ্ছে মেয়ে কি সম্পর্ক।যদি তা না হত তাহলে ইউরোপ-আমেরিকার বিয়েগুলো এত ডেটিংয়ের পরেও ভেঙে যেতো না।
আমাদের দেশেও প্রেমের বিয়ের একটা বড় অংশ ব্যর্থ হয় এবং ভেঙে যায়। কারণ প্রেমের সম্পর্ক হল পরস্পর পরস্পরকে তেল দেয়া। বিয়ে হচ্ছে পারস্পরিক দায়িত্ব-কর্তব্যের এবং এটা সারা জীবনের সম্পর্কে। প্রেম মানে হচ্ছে ফুচকার ফাস্টফুডের দোকান। কিন্তু বিয়ের পরে তো ফুট তৈরি করতে হবে। তখন শুরু হয় সমস্যা। মনে হবে আরে বিয়ের আগেইত সুন্দর করে কথা বলতো এখন দেখি ধমক দিয়ে কথা বলছে এখনো নাস্তা রেডি হয়নি?
ব্যাস অশান্তি শুরু।কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত দায়িত্বের মুখোমুখি না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আসলে কেউ কাউকে চিনতে পারেনা।
ইউরোপ আমেরিকাতে বিয়ের আগে চেনা চিনি সব শেষ হয়ে যায় তবুও তাদের ডিভোর্সের হার হচ্ছে ৭০পার্সেন্ট।
অতএব বিয়ের ক্ষেত্রে আপনার সিক্সথ সেন্স টাকে সব সময় প্রাধান্য দেবেন।
অন্তরকে জিজ্ঞেস করবেন সিলেটি কেমন হবে আমার জন্য। আর কিছু এডজাস্টমেন্ট তো করতেই হবে।
৬০% বা ৭০% মিল হলে তো অনেক।
ইনটুইশন অর্থাৎ বিয়ের ব্যাপারে প্রজ্ঞাকে প্রাধান্য দেবেন। আপনি ভুল করা থেকে বেঁচে যাবেন।
পছন্দের ব্যাপারে মা-বাবার মতামত অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।কিন্তু সবকিছু মা-বাবা নিজেরাই ঠিক করে ফেলবে এতে আমরা বিশ্বাস করি না কারণ হল আপনার আপনার সংসার করার দায়িত্ব আপনার আপনি হবেন সংসারের গৃহকর্ত্রী কিংবা কর্তা তাই ঘর করবেন যে তো আপনারা তাই চিন্তা ভাবনা টা আপনাকেই করতে হবে।
বিয়ের ব্যাপারে সহজ ফর্মুলা হচ্ছে প্রত্যেকেরই পজেটিভ নেগেটিভ কিছু পয়েন্ট থাকে।আপনি যদি মেয়ে হয় ছেলের পজেটিভ নেগেটিভ পয়েন্টগুলো নোট করুন এবং দেখুন আপনার পজেটিভ ও নেগেটিভ কয়েকটি কি
দেখুন কতটা ম্যাচ হয়। যদি ৬০/৭০ শতাংশ মিলে মিলে যায় বাকিটা নিয়ে অত খুঁতখুঁত না করাই ভালো।
সেটুকুই মেনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বিয়ের কারণ বিয়ের ব্যাপার পুরোটাই এডজাস্টমেন্ট।
যদি মতের এবং চিন্তার মিল থাকে তবে এডজাস্টমেন্ট তুলনামূলক সহজ হবে।