সন্তানের সাথে বন্ধুত্ব
14 বছরের মেয়ে স্কুলের সভাপতির সাথে মিশেনা। ক্লাসে একা একা থাকে কারো সাথে কথা বলে না সে বলে বন্ধুত্ব করবেনা তার এই একই আচরণ কি ঠিক হচ্ছে?
বন্ধুত্ব না করলে ভালো পাঠকদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখা উচিত কারণ তা না হলে দেখা যাবে এক সময় সে একবার হয়ে পড়ছে। এতে তার নিজের সম্ভাবনা বিঘ্নিত হতে পারে তাই এরকম চিন্তা সিদ্ধান্ত থেকে তাকে বের করে আনতে হবে আর কেন সে এমন সিদ্ধান্ত নিলেও তা খোলামেলাভাবে তার সাথে কথা বলে বুঝার চেষ্টা করুন এবং সেভাবে তার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করুন।
ছেলেরা সবসময় পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে স্কুল কোচিং প্রাইভেট পরাবার বাড়ি এসে দরজা বন্ধ করে পড়া কেবল খাওয়ার সময় একসাথে বসে খায় আমি কিভাবে তাদের সময় দেব অনেক সময় তো দেখাই হয় না।
এই যে সবসময় পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকা বা ব্যস্ত থাকতে দেয় এটা বাড়াবাড়ি এবং ভারসাম্যহীনতা এই একমুখী তার পরিণতি কিন্তু ক্ষতিকর। আপনি আপনার ছেলে-মেয়েদের ক্লাসের পরীক্ষার জিপিএ 5 পাওয়ার কথা ভাবছেন কিন্তু জীবনের পরীক্ষায় কিভাবে সেটার কথা কি ভাবছেন এটা যে ভাবছেন না তাহলে কি হবে জীবনের পরীক্ষা পিছিয়ে পড়বে। বাস্তব জীবন দেখবেন এই বইয়ের গান একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে তেমন কোনো কাজে আসে না ।আর ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে দোষারোপ করবে আপনি যখন থাকবে না তখন তার দুর্দশাকে তো আপনি থাকতে পারবেন না। সেই মেয়েটির মতো যে খিচুড়ি রান্নার প্রণালী লিখতে পারে কিন্তু রান্না করতে পারে না রান্নার প্রণালী লিখিত লাভ নেই যদি রান্না করা যায়।
আর এই যে বাড়ি এসে দরজা বন্ধ করে আবার পড়া আজকালকার বাবা মায়ের সন্তানদের পরিবারের অংশ হিসেবে বড় করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এ কারণেই সংসারের কোন কাজে তাকে ডাকেন না মেহমান এলে তাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দেন না পড়ার ক্ষতি হবে বলে আর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হতে একসময় সে আর এই পরিবারকে নিজের মনে হবে না। তখন বাইরের জগত ব্যবহার চুয়াল জগতকে তারা আপন বলে মনে করতে থাকে যে মা-বাবা তাদের সন্তানদেরও ক্লাসে প্রথম বাড়ানোর জন্য বাস্তব জীবন থেকে সরিয়ে ননীর পুতুল বানাচ্ছেন সবার মত ভুল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসুন। ক্লাসে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবনের জন্য তাদেরকে জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে দক্ষ করে তুলতে হবে সংসারের নানা দায়িত্বভার দিতে হবে তাহলে সে দক্ষ হয়ে উঠবে যথার্থ অর্থে সফল হয়ে উঠবে।