স্বামী-স্ত্রী চেতনায় উদ্বুদ্ধ না হবে
আমাদের এখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আমি একাই কন্ট্রোল গ্রাজুয়েট এখন আমি একা প্রো-একটিভ একটি পারিবারিক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব অথচ তার নেতিবাচক আচরণ সহ্য করার জন্য কষ্টকর।
আপনি ইস্ত্রি হলে সবাইকে কোর্স এর ব্যাপারে উৎসাহিত করবেন না এ ব্যাপারে আমরা দেখেছি খুবই সফল 99% ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীকে কোর্স এর ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছেন আসলে নারীরা সহজ ভাবে নরম আর শক্ত প্রভাবিত করতে পারে
বেশি যেমন পানি যে কোন জায়গা দিয়ে অনায়াসে চলে যেতে পারে কিন্তু শক্ত হতে পারেনা রংপুর শাখা থেকে হয়ে যায়।
আসামি হলেও স্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করার সহজ ভালো কাজে স্বামীর কাছ থেকে উৎসাহ পেলে এরা সহজেই সাড়া দেন দাম্পত্য জীবন তো অল্প ক'দিনের জন্য নয় পাঁচ দশ বছর দেখুন আপনি যাবেন যদি প্রাক্টিস থাকেন আসলে আমাদের সমস্যার সমাধান হয় না কারণ আমরা পরিবর্তন চাই আর তা না হলে হাল ছেড়ে দিয়ে।
আমার স্ত্রীকে অনেক চেষ্টা করেও কোনটি মানতে পারছিনা জানা যায় তার জন্য পরামর্শ চাই?
স্ত্রীকে গণআন্দোলনে স্বপ্ন কি উপকার হলো এটি পরিষ্কার হতে হবে। আপনার মত যদি পরিবর্তন আসে স্ত্রী অবশ্যই আসবে আসলে কোয়ান্টাম করার পরে পরিবর্তনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আপনি করলেন কিন্তু পরিবর্তন এলো না নামাজ পড়লেন কিন্তু অন্যায় করা থেকে আপনি বিরত থাকবেন না অন্যের উপর জুলুম করেন আরেকজন আপনার দ্বারা প্রভাবিত হবে না কোন বিষয়টি একই রকম।
কনডম করার পরে আপনার জীবন দৃষ্টিতে যদি পরিবর্তন আসে তখন আপনার পরিবার প্রভাবিত হবে আপনার পরিবর্তন কতটুকু হচ্ছে এটা আপনার স্ত্রী আপনার পরিবারের জন্য কেউ ভালবাসতে পারবে না।
আপনার আসল রূপটা প্রকাশ পায় পরিবারের অথরিটির যদি সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে আপনি ভাল মানুষ আপনি আসলেই ভালো মানুষ অতএব আপনার স্ত্রী এখনো যে কোর্স করছে না এটার কারণে হয়তো আপনার জীবনে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি।
কোয়ান্টাম চেতনার আলোকে নিজের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসুন নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনবেন তখন আপনার চারপাশের মানুষের পরিবর্তনের একে অন্যের প্রতি আগ্রহী হবে আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে পরিবর্তন এসেছে প্রাচীন মানুষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে এটা পরিবর্তন আমরা জোরদার করতে চাই প্রেম করতে চাই সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাই।
আমার এমনিতেই কোন অভাব নেই কিন্তু কোয়ান্টামের প্রোগ্রাম আসতেছে খবরটা আমার স্বামীর কাছে চাইতে সংকোচ হয় তার কাছ থেকে টাকা নিতে চায় না যে কোন একটা কাজ ব্যবসা করতে চাই এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেবেন।
আসলেই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমি একমত নই স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিতে কোনো সংকোচ করবেন প্রথমত আপনার কথা থেকে বুঝা যাচ্ছে আপনি শহরটা যথেষ্ট টাকা আছে দ্বিতীয় ধর্মের অনুসারী একজন স্বামী তার স্ত্রীর ভরণ পোষণের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করার ওয়াদা করে তাকে ঘরে নিয়ে আসেন এ দায়িত্ব যখন নিজের স্ত্রীর রান্না জানেন না করেন তাহলে রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
স্ত্রী এখানে কোনো দায়িত্ব নেই তৃতীয়তঃ যেটা সবচেয়ে বাস্তব ধর্ম অবাধ্য না করলেও সাধারণভাবে একজন নারী তার করার জন্য যে পরিশ্রম করেন দায়িত্ব পালন করেন তাই সরকারের কাছে কোন অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং কখনো কখনো কাজের সময় গ্রহণের কারণে এ কাজগুলো করানো সম্ভব নয়।
স্বামী 8 ঘণ্টা অফিস করছেন কিন্তু স্ত্রীর ডিউটি ২৪ ঘন্টা। স্ত্রী ঘর সামলাচ্ছেন বলেই স্বামী বাইরে থেকে এসে গরম গরম খাবার পাচ্ছেন।
মর্দ ঝকঝকে-তকতকে দেখছেন সন্তানকে নিয়ে তাকে ভাবতে হচ্ছে না বললেও অনেক কোমরের কাছে আছে শুধু সন্তান লালন জন্য জামাইরা করছেন এই জন্যই তো অনেক মাকে রাষ্ট্র থেকে ভাতা দেয়া উচিত মায়ের আকর্ষণের জন্য তার মাকে ভাতা দেওয়া উচিত একে বাইরে কাজ করতে হয় এবং সন্তানের জন্য আর্থিক প্রয়োজন আমাকে বাইরে কাজ করতে না হয় সন্তানের পরিপূর্ণ বিকাশ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন কারণ সন্তান জন্ম থেকে জন্মান্তরে অযত্ন-অবহেলায় জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
অতএব ঘরের দায়িত্ব পালন করে সম্মানের মনে করবেন করে কাজ না করে ঘরে সময় দিচ্ছেন বলেই তো আপনি তা করতে পারছেনা স্বামীর কাছে চাইতে কোন ধরনের সংকোচ করবেন না কণ্ঠস্বরে সামান্য টাকা চাইতে যোগাযোগ করার কোন প্রয়োজন নেই স্বামীর উপার্জনের সবরকম প্রয়োজন মেটানোর অধিকার আপনার আছে।
স্ত্রীকে কখনো বুঝতে যাবেন না কারন স্ত্রীর সাথে সম্পর্কটা বোঝানোর নয় স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক আছে মমতার ভালোবাসার প্রেমের। হাই ফ্রেন্ড যদি তাকে প্রভাবিত করতে না পারে তাহলে যত যুক্তি দিয়েই তাকে বোঝাতে চান না। কেন আপনি ব্যর্থ হবেন বরং নিজের জীবনের শিক্ষা প্রয়োগের চেষ্টা করুন যেমনটি আপনি বলেছেন যে পরিবেশন করছেন আমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করেছেন আর অবিশ্বাসের প্রমাণিত হবে।যেমন আপনি কি পুরোপুরি প্রো একটিভ হতে পেরেছেন আপনি কি হাসতে পারেন তিনি চিৎকার করলে আপনি কি শান্ত থাকতে পারেন। যদি পারেন তাহলে তিনি বুঝতে হবে আপনি কোনটাকে বিশ্বাস করেছেন। অর্থাৎ এমনভাবে নিজেকে বদলে ফেলতে হবে যেন আপনাকে দেখেই সবাই মনে করে ফোনটা।
তাহলে আপনাকে শাড়িতে চারপাশের মানুষ প্রভাবিত হবে। সবার শেষে প্রবাহিত হবে আপনার স্ত্রী তিনি তখন ভাববেন আচ্ছা এখন সবাই তো বলছে তাহলে তো দেখি তো।
চাচার আপনি হয়তো কোয়ান্টাম মেথডের তৃতীয় বর্ষের দ্বীন শেখার টিপস অনুসরন করেছেন। অর্থাৎ আপনি ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এবং পরে এসে স্ত্রীকে আমি তোমাকে ভালোবাসি। বলছে না যদি বলতেন তাহলে আপনার নিজের সাথে বান্ধবীদের নিয়ে আসছেন।
আরে স্ত্রীর সাথে কখনো ঝগড়া যাবেনা তর্কে যাবেন না কারন আমরা করছি বলেই স্ত্রীর সাথে বিতর্কে কি আপনি কোনদিন যেতে পারবেন তাই বিতর্কে না যাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিতর্কের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু পরিষ্কার বিতর্ক থেকে তিনি সবসময় বিরত থাকতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, যখন তুমি বুঝতে পারছ কি ভুল করতে যাচ্ছে। তখন তুমি যদি চুপ করে থাকো তাহলে আল্লাহ তমার জন্য একটি ঘর বানিয়ে দেবে তুমি জানো সেটা নিয়েও বিতর্ক করছে।তারপর তুমি যদি বিচারপতিকে বিরত থাকো তাহলে তোমার জন্য একটি গল্প নিয়ে যাবে না। যদি তুমি নিজেকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করি ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ মানুষকে সতর্ক করার জন্য।
যখন তুমি বুঝতে পেরেছ, কেউ ভুল বিষয়ে বিতর্ক করতে চাচ্ছেন।তখন যদি তুমি চুপ থেকে বিতর্ক এড়িয়ে যাও তাহলে আল্লাহাফেজ প্রান্তে তোমার জন্য একটি ঘর বানিয়ে দেবে।
আর যদি তুমি জানো যে তুমি সত্য কিন্তু প্রতিপক্ষ সেটা নিয়েও বিতর্ক করেছে তারপরও যদি তুমি বিতর্ক থেকে বিরত থাকো। তাহলে তিনি সিজদার মাঝখানে তোমার জন্য একটি ঘর বানিয়ে দেবেন।
আর যদি তুমি নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করো ভালো মানুষ হওয়ার জন্য চেষ্টা করো আন্তরিকভাবে তাহলে ফের শীর্ষে তোমার জন্য বর বানিয়ে দেবেন।
অতএব প্রশ্নের উত্তর কোরিয়া যাবেন বুদ্ধিমান মানুষ কখনো বিতর্ক যায়না আর স্ত্রীর সাথে বিতর্ক যায় একমাত্র নির্বোধ।