প্রেমে পড়াঃ

প্রেম মানেই কিন্তু সেখানে ইমোশনাল ইনভল্ভমেন্ট থাকবে।ইমোশন ছাড়া যেই সব সম্পর্ক হয়, সেগুলা আর যাই হোক, প্রেম নয়।আসলে প্রেম ছাড়াও আরও অনেক অনেক সম্পর্কে কিন্ত ইমোশন থাকে।এমন কি, “ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট”-এর মত ঘোষিত হালকা সম্পর্কও কিন্তু ইমোশন মুক্ত নয়।
তবে কথা আছে।
সব সম্পর্কের ইমোশনের ইন্টেন্সিটি কিন্তু এক নয়।
আমার পরিচিত বেশ ক’টি যুগলকে জানি, যাদের প্রেমের সম্পর্কগুলো বড়ই জটিল।
অদুর ভবিষ্যতে তো নয়ই, সম্ভবতঃ জীবনেও ঐ প্রেমগুলা পূর্নতা পাবে না।
অথচ তারপরেও কি গভীর তাদের ইমোশনাল এটাচমেন্ট!!প্রতিনিয়ত পথচলা!!!

তাদের প্রতিটা মুহুর্তেই চলে পরষ্পরের প্রতি পরষ্পরের সেইসব আবেগময় আদান-প্রদান।

আবার একটু বেশি সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেই কি এক শুন্যতায় ভরে ওঠে তাদের চারিপাশ। চারিপাশের প্রতিটা মূহুর্ত!!!

মজার ব্যাপার হলো, এই কাপলগুলার বেশিরভাগই কিন্তু আবার ততটা তরুণ নয়, যতটা তারুন্যে প্রেমটা হয় বাধভাঙ্গা। মধ্যবয়স বা তার কাছাকাছি পৌছেও এরা যে এমন আবেগময় টানটান উত্তেজনাময় প্রেমের সম্পর্কে আছেন, তেমন কোনো প্রাপ্তি ছাড়াও সেটা যে অনির্দিষ্টকালের জন্য টেনে নিয়ে যাচ্ছেন – ব্যাপারগুলা এক এক সময় ব্যাখ্যাতিতই ঠেকে!!!

এইতো গেল একধরনের ইমোশনাল ইনভল্ভমেন্ট যা : বয়স, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান, বৈবাহিক অবস্থা, ইত্যাদি নির্বিশেষে নিবিড় গভীরতা সহ এগিয়ে যাচ্ছে।
 

অথচ, এর বাইরেও এমন অনেক অনেক প্রেমের সম্পর্কের কথা শুনেছি বা জানি, যেগুলাতে পরিনতির সব ধরনের সুযোগ ও সম্ভবনা থাকা সত্বেও দেখা যায় খুবই ঠুনকো কোনো কারনে হুড়মূড় করে ভেঙ্গে পড়ে।

মজার ব্যাপার হলো, সেগুলোতেও পক্ষগুলো দাবী করে যায় যে, সেই সম্পর্কগুলোও নাকি ছিল মূলতঃ আবেগ-নির্ভর।

কিন্তু অবাক কান্ড হলো, একটি আবেগ-নির্ভর প্রেমের সম্পর্ক কি করে এতটা ঠুনকো হয় যা অতি সামান্য কোনো কারনে এইভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারে?

হ্যাঁ, ভেঙ্গে পড়াটা তখনই সম্ভব, যখন সম্পর্কে থাকা যুগল আবেগময়তার যত দাবীই করুক না কেন, আসলে সেটার মধ্যে কোনো একজনের তেমন কোনো গভীরতা থাকে না।

আর সেটার কারনে হয়তো দেখা যায়, একটি অসময়ে করা দুর্বোধ্য এসএমএস নিয়ে সৃষ্ট মতভেদও হতে পারে এধরনের একটি সম্পর্ক ভঙ্গের অজুহাত।তাজ্জব না???

মিস-কমুনিকেশন তো সেখানে সম্পর্ক ভাঙ্গার জন্য বিরাট উপলক্ষ। প্রেমের সম্পর্ক যে আবেগ-নির্ভর হবেই, এতে আলাদা কোনো কৃতিত্ব নাই।কৃতিত্ব হলো, সেই আবেগ-নির্ভরতাটা স্থান-কাল-পাত্র ভেদে কতটা গভীরতা পাচ্ছে তাতে।
অগভীর ইমোশনাল ইনভল্ভমেন্টের কারনে ঠুনকো সম্পর্কে থাকা যাবতিয় যুগলের জন্য তাই আগাম সতর্কতা – কবে ভাঙ্গছেন, এই সম্পর্কটা?
ভাঙ্গুন, তবে এইজন্য অন্য কিছুকে বা অন্য কাউকে দূষবেন না।সুযোগ থাকা সত্বেও, নিজেই যখন সম্পর্কটাকে গভীর ভাবে আবেগময় করতে পারলেন না, সেটা ভাঙ্গার দায় কিন্তু আপনারই।

SCAN TO VIEW

OUR OFFICES