বিবাহ কী?

বয়ঃপ্রাপ্তি ও প্রবৃদ্ধিতে উপনীত হওয়া প্রত্যেক ছেলে ও মেয়ের সর্ব বৃহৎ আকাঙ্খা হচ্ছে বিবাহ। দাম্পত্য জীবন গঠনের মাধ্যমে অধিকতর স্বাধীনতা ও অর্জন করতঃ গোপন ভেদের একজন সহযোগী ও সহচর পেতে চায়। তারা বিবাহকে নিজ সৌভাগ্যবান জীবনের সূচনা মনে করে এবং এজন্যে উৎসবের ব্যবস্থা করে থাকে।

   যুগোল নির্বাচন ও পারিবারিক যৌথ জীবনের ভিত্তি স্থাপন করা একটি প্রাকৃতিক চাহিদা যা প্রত্যেক মানুষের অস্তিত্বে স্থাপন করা হয়েছে যা মহান আল্লাহর বৃহৎ অনুগ্রহ। সত্যিই, পারিবারিক আনন্দের সংঘ ছাড়া কি এমন কোনো স্থান খুঁজে পাওয়া যাবে যা যুবকদের জন্যে এক নিশ্চিত আশ্রয় কেন্দ্র হতে পারে? পরিবারের প্রতি অনুরাগই মানুষকে ছিন্নভিন্ন চিন্তা-ভাবনা ও অভ্যন্তরীণ দোদুল্যতা হতে মুক্তি দিতে পারে। সেখানেই একজন বিশ্বস্ত ও দয়ালু বন্ধু ও সহচর খুঁজে পাওয়া যেতে পারে এবং বিভিন্ন দুঃখ-কষ্ট ও সমস্যায় পরস্পরের সহযোগী ও সমব্যথী হতে পারে। দাম্পত্য জীবনের চুক্তি এমনই এক ঐশী সম্পর্ক যা অন্তরসমূহকে পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে, বিষাদক্লিষ্ট অন্তরসমূহকে শান্ত করে এবং ছিন্নভিন্ন চিন্তা-ভাবনাগুলিকে এক উদ্দেশ্যের দিকে কেন্দ্রিত করে। গৃহ হল প্রেম-ভালবাসার স্থান, সখ্যতা ও অনুরাগ এবং সর্বোত্তম বিশ্রামকেন্দ্র।

ইসলামের নবি (সা.) বলেন: ‘যে লোকের স্ত্রী নেই সে একজন মিসকিন ও উপায়হীন, যদিও বিত্তশালী হয়। আর যে মহিলার স্বামী নেই, সেও একজন মিসকিন ও উপায়হীনা, যদিও তার অর্থ থাকে।’ (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, খন্ড ৪, পৃ ২৫২)

   তিনি অপর এক জায়গায় বলেন: ‘আল্লাহর নিকট বিবাহের চেয়ে অধিক প্রিয়, আর কোনো ভিত্তিই ইসলামে স্থাপিত হয় নি।’ (বিহারুল আনোয়ার, খন্ড ১০৩, পৃ: ২২২)

   হজরত ইমাম সাদেক (আ.) এক লোককে জিজ্ঞাসা করলেন: ‘তোমার কি স্ত্রী রয়েছে?’ সে বলল: ‘না।’ তিনি বললেন: ‘আমি যদিও সমগ্র পৃথিবীর মালিক হই তবুও স্ত্রী ব্যতীত একটি রাতও অতিবাহিত করা পছন্দ করি না।’ (প্রাগুক্ত, ২১৭)


--> স্বল্প তথ্য সমৃদ্ধ ও অভিজ্ঞতাহীন দুইজন যুবক-যুবতি একটি নতুন জীবনে প্রবেশ করছে। এই প্রেক্ষাপট হতে, প্রচুর সমস্যা সৃষ্টি হবে। বিভিন্ন মতানৈক্যতা, অসমঝোতা, রাগ ও তর্কবিতর্ক আরম্ভ হবে। পিতা-মাতার হস্তক্ষেপ যেহেতু বুদ্ধিমত্তা ও পরিকল্পিত নয়, সেহেতু কোনো সমস্যার সমাধান তো করবেই না, বরং মতানৈক্যকে আরও গভীরতর ও বদ্ধমূল করবে। বিবাহের প্রথম পর্বগুলো, একটি গোলযোগপূর্ণ ও সংকটপূর্ণ পর্ব। বহু পরিবারই, এই পর্বে পৃথক হয়ে যায়। তাদের অনেকেই আবার যৌথ জীবনের বাহ্যিক অবস্থা রক্ষা করার মাধ্যমে, জীবনের শেষ অবধি বাকবিতণ্ডা ও শক্তি পরীক্ষায় রূপ নেয়। কতক পরিবার কিছু সময় -অল্প কিংবা বিস্তর- পর, পারস্পরিক চরিত্র ও আচার-ব্যবহারের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং তুলনামূলক আরাম ও সোয়াস্তি খুঁজে পায়।

SCAN TO VIEW

OUR OFFICES