স্ত্রীকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন
আজ ৩২ বছর ধরে সংসার করছি সামান্যতম কারণে স্বামীর হাতে পিটুনী খেতে হয়েছে এখনও হয় সমাজের অপমানিত হওয়ার ভয়ে নীরবে মুখ বুজে সহ্য করেছি।
নারীর প্রতি অন্যায় এবং ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি হলো পারিবারিক জীবনের সবচেয়ে বড় অবিদ্যার অনিবার্য ফলাফল ।
অশান্তি পুরুষ এবং নারী কে ঘিরে যে পরিবার গড়ে ওঠে সেখানে পুরুষ পরিবারের প্রধান হলেও পরিবারের প্রাণকেন্দ্র নারীরাই কারন পরিবারটি কে থাকে নারীকে কিন্তু শুরুতেই গলদ।
অর্থাৎ পরিবারের সবচেয়ে বিরক্তিকর এবং কষ্টকর কাজ গুলো দিনের-পর-দিন করে গেলেও যেকোনো অপমানের বুঝে নিতে হয় নারীকে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে পারি কিন্তু পরিবারের একজন যদি অন্য জনের উপর জুলুম করেন সেখানে কোনো শান্তি থাকতে পারে না। কারণ পরিবারের এমন জায়গা সারাদিন কাজের পর বন্ধুদের সাথে আড্ডা ক্লাব পার্টি এসব কিছুর পরেও তথাকথিত আধুনিক মানুষ কে সেখানে ফিরতে হবে।
আপনার যে করুণ জীবনের কথা বলছেন ৩২ বছরের সংসার অপমানের কথা বললেন এটা কখনো হতো না যদি আপনি নিজের পরিচয় সৃষ্টি করতে পারতেন ।
আপনার যেসে করতা পিতা-মাতা সংসার আপনার ব্যক্তিত্ব আপনাদের সমাজে মেয়েরা আত্মপরিচয় সংকটে পর্যন্ত বাবার অভিভাবকত্ব বিয়ের পর স্বামীর এবং স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলের অভিভাবকত্ব এবং সবসময়ই নারীর অন্য কারও অধীনস্থ।
স্বামীর সংসার আসার পর তাকে পিতৃপরিচয় ভুলে যেতে হবে ইত্যাদি সবই অবিদ্যা বিয়ের মাধ্যমে দুজন নারী পুরুষ পারস্পরিক সমঝোতা এবং সহযোগিতা চুক্তিতে আবদ্ধ হয় নিজস্ব পরিচয় বিসর্জনের প্রশ্ন। সেখানে অবান্তর নিজের পরিচয় সৃষ্টিকর্তার ধরে রাখতে পারলে কাউকে অপমানিত হতে হয় না তো আপনি নিজের পরিচয় সৃষ্টি করতে পারেননি এই বয়সে নিজের পরিচয় সৃষ্টি করা ফ্রীলান্সিং।
পারিবারিক দুঃখ কষ্টের কারণ কি বউ পেটানোর কাছে ধনী-গরিব শিক্ষিত-অশিক্ষিত এর মধ্যে কি কোন পার্থক্য নেই?
পারিবারিক জীবনে যত দুঃখ কষ্ট বেদনা আর্তনাদের পেছনে রয়েছে অসম্মান এটা শুরু হচ্ছে নারীকে হেয় করার আত্মসম্মান করার চেষ্টা থাকে।
এ নিয়ে তো একটা অপ্রচলিত ছড়াও আছে গ্রামবাংলা সেটা হল মেয়ের নাম ফেলি পরে নিল নিল গেলি যেটা আমরা শুদ্ধ ভাষায় বলি। পরের মেয়ে বিয়ে হলেও তুই গেলি আর জমে নিলেও গেলি তারপরে আরো ছড়া কবিতা দিয়াছে আজব ছেলে বউ জব্দ আর কি?
এটাতো আমাদের এখানে ছড়া কিন্তু আমেরিকানদের ঐতিহ্য আমরা মনে করি কেবল আমাদের দেশে নারীকে অসম্মান করা হয়। আমেরিকাতে তো প্রতিবছর ৪৭ লক্ষ ৭০ হাজার নারী স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড কর্তৃক নির্মম প্রহারের শিকার হচ্ছে।
বিলাতে সংখ্যা ১২ লক্ষ আর এটা পুলিশের রিপোর্টে প্রহারের শার্ট পড়ছেন ঘটনা পুলিশকে জানানো হয় না মাদক ও ভার্চুয়াল ভাইরাসের আগ্রাসনের ফলে বাংলাদেশের নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে বহুগুণ।
অবশ্য সব সময় যে নারী পরিত হয় তা নয় পুরুষও মাঝে মাঝে সংখ্যায় কম তো।
আমি তখন এস্ট্রোলোজার একলা এসে বলল তার জীবন বিপন্ন বলল তার স্ত্রী তাকে ধরে পেটা আর তার স্ত্রী ও আমার ক্লায়েন্ট যদি স্বামী তো জানেনা বললাম জীবনে যখন এত বিপন্ন থানাতেও ডায়েরি করে আসুন।
বললেন গিয়েছিলাম পুলিশ রিপোর্ট নেয়নি পুলিশ স্ত্রী-প্রহারের স্বামীর জীবন বিপন্ন রিপোর্ট দেখাও আমাদের জন্য অসম্মানজনক।
এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হলো ধনী-গরিব শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে যে ঘরে বউ পেটানো হোক সে ঘরে কখনো শান্তি থাকতে পারে না। পরিবারের সদস্য বিশেষত সন্তানদের মানসিক বিকাশের সম্ভব না সেখানে অথবা অমানবিকতা থেকে আমরা যত বেরিয়ে আসতে পারবো তত আমাদের মঙ্গল।
স্বামীর সাথে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছেনা অনেক বকাবকি করে এত কষ্ট মেনে নিতে পারছি না আমি কি করতে পারি?
আসলে প্রত্যেকটা জীবনে কষ্ট আছে বাস্তবতা হচ্ছে দুনিয়ায় কষ্ট ছাড়া কোন জীবন নেই এক একজনের কষ্ট এক জায়গায় একেক রকম। হয়তো জীবনানন্দ যেরকম আছে কষ্ট আছে আপনি বুদ্ধিমান হলে আনন্দের পরিমাণ পারবেন কষ্টের বোঝা ভারি মজার কিছু হয়না।
আপনি বোকার মত কেন ভারী বোঝা নেবেন আর আনন্দ কখনো সোজা হয় না আনন্দ এত হালকা ভেতরটা কেউ আশা করে দেয় তাই আনন্দটাকে গ্রহণ করবেন কষ্টটাকে বর্জন করবেন এজন্য বকাবকি করছে করুক।
আপনার দুটো উপায় আছে এখনো সম্পর্ক ছিন্ন করা সম্পর্ক যদি ছিন্ন করতে চান সেটা আলাদা ব্যাপার আর সম্পর্ক ছিন্ন করতে না চান।
তাহলে যা কিছু আপনার জন্য কষ্ট করে সেটার কিছু নেবেন না শুধু আনন্দটুকু নেবেন কারণ কিছু আনন্দ যদি না থাকতো তো পাঁচ বছর ১০ বছর ২০ বছর পর্যন্ত আপনি সংসার করতে পারতেন না।
আমাদের সমস্যা হয় যখন আমরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছি কেউ খুব তাড়াতাড়ি একটু পরে হারায় কিন্তু পারিবারিক জীবনটা এমন সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না।
যেখানে ধরনের কোনো সুযোগ নাই আবার যদি মনে করা হয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। সেটাও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কিন্তু সম্পর্ক ছিন্ন করতে হলে পরিবারের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবেন।