প্রসঙ্গ কর্মজীবী স্ত্রী

আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে চাকরি করি আমার স্বামী চায় না আমি চাকরিতে তার চাইতে ভালো অবস্থানে থাকি সে মুখে কিছু বলেনা কিন্তু আমি হারে ভাবে বুঝতে পারি এটা নিয়ে আমি মানসিকভাবে অশান্তিতে আছি আমার করনীয় কি বুঝতে পারছিনা?

এখানে সমস্যাটা আপনারা আপনার স্বামীর নয় কারণ তিনি তো কিছু বলেননি আপনি হাবভাবে বুঝে নিয়েছেন আবহে বুঝবেন কেন আপনার স্বামী কি কথা বলতে পারেন না আসলে আপনি নিজেই এক ধরনের জটিলতায় ভুগছেন জিয়া যদি আমি সবচাইতে বড় হয়ে যায় তাহলে না জানি কি সমস্যা হয় আপনি স্বামীকে ভালবাসেন তিনি যখন দেখবেন তার চেয়ে বড় কর্মকর্তা হওয়ার পরও আপনি তাকে ভালবাসেন আপনার আচরণে কোনো পার্থক্য হয়নি আপনার স্বামী আপনাকে শ্রদ্ধা করা শুরু করবেন সমস্যা আপনার আপনি নিজে নিজে ভাবছেন এবং সমস্যাগুলোকে কল্পনা করুন।
 

পারিবারিক প্রশান্তির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বড় ব্যাপার আপনাকে সৃষ্টি চাকরি হলো কি তার আর্থিক দায়িত্ব নিতে হবে?

এ ব্যাপারে ইসলামের বিধান খুব পরিষ্কার ইসলামের স্বামী তার স্ত্রীর ভরণ পোষণের যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে তাকে বিয়ে করেন শরিয়া মতে স্বামী সেটা দিতে বাধ্য স্ত্রীর জন্য স্বামীর কোনো অধিকার নেই এটা সম্পূর্ণই স্ত্রীর সংসার খরচ নির্বাহ এবং অর্থ বাধ্য নয় আসলে একজন আত্মমর্যাদা বোধ সম্পন্ন পুরুষ কখনো তার স্ত্রীকে পর্যন্ত দিতে বাধ্য করবে না।

তবে স্ত্রী সংসার খরচ করতে চাইলে সেটা ভিন্ন কথা আমরা অনেকেই জানি না যে ইসলামে স্ত্রীকে এত অধিকার দিয়েছে আজকাল শুনে ছেলেরা নাকি বিয়ে করার জন্য চাকরিজীবী মেয়েদের পছন্দ করে তাহলে নাকি সংসারে আর্থিক সঙ্গতি হবে ।
কিন্তু তারা এটা জানে না যে ধর্ম এই দায়িত্ব স্থির নয় পুরুষের আর একজন পুরুষের জন্য এটা অত্যন্ত অবমাননাকর পরিবারের ভরণ পোষণের জন্য যথেষ্ট মনে করছে না এই প্রবণতা চলতে থাকলে কিছুদিন পর হয়তো হাউস ওয়াইফ এর মত হাজবেন্ডের দেখা যাবে যারা বাসায় রান্না করবো ছেলে মেয়েদের দেখাশোনা করবে।
 ঘরদোর গুছিয়ে রেখেছি কখনো বাইরে থেকে আসবে সে অপেক্ষায় থাকবে এখন তো বিয়ের সময় গয়নাগাটি স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তারপর বাড়িতে নিয়ে আসবে।

বর্তমান সময় অনেক সচ্ছল পরিবারের মেয়েরা চাকরি করছে তারা কি স্বামী এবং সন্তানকে সময় দেওয়া থেকে বঞ্চিত করছে না?

স্বাভাবিকভাবেই সহ কর্মজীবী মহিলা এবং স্বামী এবং সন্তানকে সময় দিতে পারেন না দিলেও কম সময় দেন ।
এ ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রী যদি পরিবারের সময় দেয়ার ব্যাপারে সরকারকে সহযোগিতা করেন তাহলে অন্য সদস্যদের উপর প্রভাব পড়বে আর মনে রাখতে হবে ক্যারিয়ার এবং সংসার দুটো একসাথে পরিপূর্ণভাবে করা খুব কঠিন একটি খুব ভালো করতে হলে আরেকটি তো স্বাভাবিকভাবে কত তাকে কোনো না কোনো ছাড় দিতে হবে।

 

আমার স্ত্রী উচ্চশিক্ষিত অধিক উপার্জনকারী এবং প্রসাদ বাড়ির বরাদ্দপ্রাপ্ত হলে সে আমার প্রতি উদাসীন এবং অত্যন্ত স্বেচ্ছাচারী এতে সংসারে অশান্তি লেগেই আছে সমাধান কি?

আপনার ভাষ্যমতে আপনার স্ত্রী তিন দিক থেকে আপনার উপরে আছেন কাজেই তার নেতৃত্ব মেনে নিন এবং হাউজ হাজবেন্ড হয়ে জান।
একজন যদি এগিয়ে যায় তার নেতৃত্ব মেনে নিতে দোষ কোথায় আসলে পারিবারিক ক্ষেত্রে একজনের তো মেনে নিতে হবে এক্ষেত্রে যোগ্যতাকে দায়িত্ব দিতে হবে এটি হতে পারে হতে পারে।

SCAN TO VIEW

OUR OFFICES