স্বামী বা স্ত্রীর ভুল ধরা
আমার সঙ্গে সবসময় আমার নেগেটিভ দিক গুলো বলতে থাকেন কিন্তু দুঃখ এজন্য যে আমার পিছু পজেটিভ দিকও আছে আমার প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি কিভাবে পরিবর্তন করা যায়।
এত দুঃখ পাবেন না আপনি আপনার পজিটিভ দিক গুলো আরো উন্নত করুন দেখবেন এক সময় তিনি নেগেটিভ দিক দিয়ে পজেটিভ দিক গুলো ঘুমিয়ে কথা বলা শুরু করবেন।
আপনার স্ত্রী আপনাকে ভালোবাসেন এরকম করে পৃথিবীর আর কেউ আসবে না কারণ তার মত করে পৃথিবীকে আল্লাহতালা দ্বিতীয় কাউকে বানান নি অতএব একজনের সাথে আরেকজনের স্ত্রীর ভালোবাসার পার্থক্য হবে।
আপনার পর্যবেক্ষণ হলো আপনার যুক্তিক পছন্দ-অপছন্দগুলো তার সাথের বুঝে চলা উচিত কিন্তু তা দেখছেন না আসলে এটা হতে পারে এ ব্যাপারে তিনি হয়তো উদাসীন সিরিয়াস না কিন্তু আপনি যখন রাগ করেছেন তখন আপনার স্ত্রী কিছু সময়ের জন্য একটু সিরিয়াস হচ্ছেন।কিন্তু কিছুদিন পর আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছেন তার মানে এটা কিন্তু মন থেকে করা নয় আপনাকে খুশি করার জন্য দেখানোর জন্য করা ভালোবাসা থেকে না করলে এর মধ্যে তো কোনো আনন্দ নাই তো আপনার রাশেদীন আপনার স্ত্রী আপনার পছন্দ-অপছন্দগুলো কে গুরুত্ব দেবেন সেদিন বুঝবেন আপনি জিতেছেন এর আগ পর্যন্ত আপনি হেরে গেছেন।
একজন কর্মচারীকে যখন আপনি আদেশ করেন তখন ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় ও কর্মচারী নির্দেশ পালন করে আবার যখন রাগ করেছেন কাজ করছে চাকরি যাওয়ার ভয় আপনাকে ভালোবেসে নয়। ভালোবাসাটা আলাদা জিনিস সেটা কোন কিছু চাইনা ভালোবাসা শুধু দিতে চাই আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে ভালোবাসেন আপনি কখনো তার কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করবেন না।আপনি দিয়ে যাবেন স্ত্রীর দিলেন কি দিলেন না এটা তার ব্যাপার আপনি দেখবেন স্ত্রীকে প্রভাবিত করতে পেরেছেন আপনার স্ত্রী যখন দেখবেন আপনি তার প্রচন্ড গুরুত্ব দিচ্ছেন। তখন তিনি আপনার পছন্দকে গুরুত্ব দেয়া শুরু করবেন আর তাকে কমান্ড সেন্টারে নিয়ে আসুন তাকে কত ভালোবাসেন এটা বলেন তারপর বোঝান যে এই যুক্তিসঙ্গত কাজগুলো তুমি করতে এই আচরন যদি তুমি করতে আমার খুব ভালো লাগতো ।এই অনুভব করতে থাকুন তিনি সেভাবে করছেন তাহলে অন্তর্জগৎ থেকে তার মধ্যে পরিবর্তন সূচিত হবে এবং আপনি তাকে বুঝাতে পারবেন।
আমার পার্টনারের দোষ ত্রুটির কথা যখন বলি তখন ঝগড়া হয় দূরত্ব সৃষ্টি হয় কি করে সমস্যা এড়ানো যায়?
বোকার মত দুধদুটো ধরতে যাবেন না কারণ কোনো মানুষই তার দোষ ত্রুটি স্বীকার করার মতো অবস্থায় সবসময় থাকে না সেজন্য আপনাকে খুশি হতে হবে যখন আপনি দোষ ধরিয়ে দিচ্ছেন তখন ইতিহাস তৈরি হয়ে যাচ্ছে তিনি নিশ্চয় পাল্টা বলছেন আমার আবার কি দোষ দোষ তো তোমারই আর সরাসরি না বললেও ভুল ধরা যায় যা। আপনি হয়তো বলতে পারেন আমাকে কাজটা করেছিল এটা কি ঠিক যখন দুই না সবকিছু বললে আপনি বলবেন আমাদের থেকেও দূরে থাকা উচিত তাকে বদলাতে চাইলে সবসময় পাশে কৌশলে কাজ করবেন তাহলেই আপনি তাদের পরিবর্তন করতে পারবেন।
আমার স্বামীর অলসো কিছুটা দায়িত্বহীন ওকে কিভাবে এই দুটো সূত্র থেকে বের করবো ?
স্বামী যদি দায়িত্বহীন হয় তাহলে স্ত্রীকে দায়িত্বশীল হতে হবে কারণ কাউকে না কাউকে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে আপনি দায়িত্ব গ্রহণ করুন।আপনার স্বামী যখন আপনাকে বেশি বেশি দায়িত্ব নিতে দেখবেন স্ত্রী হিসেবে আপনার পর্যন্ত দায়িত্বশীলরা আসলে এই দায়িত্বটা আমরা নিতে পারি না।
আমাদের তরুণ-তরুণীদের দেখলে মায়া হয় তারা কোনো দায়িত্ব নিতে পারে না বছরের পর বছর মোবাইলে ফেসবুকে চ্যাটিং করে।কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না দায়িত্ব নিতে হবে ভেবে কি জানি বিয়ে করে সুখী হব কি হবো না। কিন্তু কথা হলো বিয়ে করতে যদি না চাও ঘুরঘুর ঘুর করো তাহলে তোমার অবস্থান অপসূর অবস্থান তো কোনো পার্থক্য নেই তাই দায়িত্ব নিতে হবে নিজের পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে স্ত্রীর দায়িত্ব নিতে হবে মায়ের দায়িত্ব দায়িত্ব দায়িত্ব নিতে পারে বড় হয়।
একটি মেয়ে কেন দায়িত্ব নিতে পারবে না আজকাল হিন্দি ছেলে সিরিয়ালের অনেক মেয়ে আছে নিজের মা বাবার সাথে যোগাযোগ করবে। কিন্তু স্বামীর মা-বাবাকে মনে করে শত্রু একজন শাশুড়ির দায়িত্ব কেন আপনি নিতে পারবেন না আপনার স্বামী কি তার মা চলে এসেছে কেন তার মায়ের দায়িত্ব নিতে পারবে না দায়িত্ব নিন। দেখুন সবকিছু কত সহজ হয়ে যায় যত দায়িত্ব নিতে পারবেন তত আপনি সফল হবেন এবং শান্তি পাবেন আর বাস্তবতা থেকে সরে দাঁড়ায় সে কখনো শান্তি পায় না শান্তি পেতে হলে আপনাকে বাস্তবতার মধ্যে ডুব দিতে হবে এমন ভাবে ঢুকবেন কখন উঠবেন কোন পানি থাকবে না এটা হল দায়িত্ব আমরা যে কাজ করি না কেন তা যেন দায়িত্বের সাথে করি।