স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে তৃতীয় পক্ষ

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অধিকাংশ বিষয়ে মতের মিল থাকলেও কিছু বিষয়ও মিল আছে তবে সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ হয় যখন স্ত্রীর মা-বাবা বোনেরা এসব ব্যাপারে নাক গলায়।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে তৃতীয় কেউ নাক গলানো মানে, এসেছে ক্ষতি করার কিছু নেই। কারণ তৃতীয় কাউকে জড়ানো মানে এই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মূল ভিত্তি। অর্থাৎ পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত নড়বড়ে হয়।

আর বন্ধুদের ক্ষেত্রে, একজন স্বামী তার স্ত্রীকে বা স্ত্রী তার স্বামীকে যেভাবে বুঝতে পারেন বা সমস্যার মূলে যেতে পারেন অন্য কারো পক্ষে সেভাবে সম্ভব নয়। ফলে ভুল বোঝাবুঝি কমে না বরং জটিলতা বাড়ে।

একসাথে থাকতে গেলে মতের অমিল হতেই পারে। এগুলো যদি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে হয় তাহলে নমনীয় হওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন আপনার স্ত্রী যদি বলেন অবকাশ ভাবটা এভাবে রাখতে হবে তখন আপনার পছন্দ না হলেও আপনি তা মেনে নিন। কিন্তু বিরোধে যখন বড় কোন বিষয় নেয়া হয় যেমন আমার স্ত্রী বলল আপনাকে কোন একটা অন্যায় করতে পারে। তখন তার মত পার্থক্য নাই তাহলে চেতনাগত পার্থক্য চেতনার ব্যাপারে ছাড় দেয়া যায় না কিন্তু ছোটখাট ব্যাপারে ছাড় দেয়া উত্তম।

আর এসব ব্যাপারে কথা বলতে গেলে সরাসরি কথা বলুন এবং তা হওয়া উচিত তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নেতিবাচক আবেগের মন্ত্রিত্ব হওয়ার আগে অফ সর্বস্বান্ত সহজভাবে মিষ্টতার সাথে কার সাথে এবং স্থান পাত্র চিন্তা করে।

আর সরাসরি কথা বলা টা শুধু স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে নয় যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যখনআর সরাসরি কথা বলা টা শুধু স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে নয় যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যখন সরাসরি কথা বলা হয় তখনও অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি রাগ এই সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।

চারদিন হলো স্বামী স্ত্রীর সামান্য কারণে রাগ করে বাবার বাড়ি চলে গেছ্‌ হয়তো সেখানে স্বামীর বদনাম করা শ্বশুর-শ্বাশুড়ি তো এখনো পর্যন্ত আমার কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না। স্ত্রীর সাথে কোন যোগাযোগ নেই আমাকে প্রায়ই রুদ্ধশ্বাস ফিরতে পড়তে হয় মুক্তির উপায় কি?

 

প্রথমত এসব ক্ষেত্রে স্থিতি ও দৃষ্টিভঙ্গি খুব পরিষ্কার থাকা উচিত তাহলে স্বামীর সাথে রাগ করে বাবার বাড়ি যাওয়া যাবে না রাগ করা অভিমান করা বোঝাপড়া অর্থাৎ যা যা করা দরকার তার স্বামীর সাথে ঘর থেকেই করতে হবে বাবার বাড়িতে যাওয়া মানেই আপনি তাদেরকে এর সাথে জড়িত করেছেন।

যখন এটা করবেন সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না এর স্বামী হিসেবে আপনাকে বলা যায় এর জন্য আপনি দায়ী আপনি সামান্য কারণগুলো কেন সৃষ্টি করেন যার জন্য স্ত্রী চলে যান ছোট ছোট কারণগুলো পুঞ্জিভূত হয়ে একসময় বড় কারণ তৈরি করবে দেখা যাবে যে তিনি হয়তো একেবারেই চলে গেলেন।

শশুর শাশুড়ি জামাইয়ের খোঁজ নিচ্ছেন না বলে যে অভিযোগ করছেন তাও এক ধরনের আল্লাহ দিব না। এবং এটা অবিদ্যা তারা কি বিপদে পড়ে গেছেন যে জামাইকে সবসময় তোর মত করে চলতে হবে হয়তো আপনারই দেওয়া উচিত কারণ তারাই আপনি তাদের মুরব্বি নন তাদের সাথে তো আপনার মান-অভিমানের কিছু নেই আপনার উচিত ছিল চার দিন আগে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে আসা শ্বশুর-শাশুড়িকে বলা উচিত স্ত্রী রাগ করে যতদিন খুশি আমার সাথে কথা না বলো। আমি যা খুশি করুক কিন্তু সেটা করতে হবে আমার ঘরে থেকে যদি না আসে আমার স্ত্রী আছে আমার যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে বিচার করুন। কিন্তু এখন আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে তাকে আমার সাথে দিয়ে দেয়া।

স্বামী হিসেবে এটা আপনার জন্য মোটেই সম্মানজনক নয় যে আপনার স্ত্রী আপনার থাকা অবস্থায় সে রাগ করে বাবার বাড়িতে আছে।আপনাদের দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে কিন্তু দুজন দুজনের কাছে ভুল স্বীকার করে কখনো সংকোচ বোধ করা উচিত নয়, অর্থাৎ আপনার দায়িত্ব হচ্ছে আজকে স্ত্রীকে নিয়ে আসা।

SCAN TO VIEW

OUR OFFICES

FOR INFORMATION : 01618871043