দাম্পত্য কলহঃ কারণ যখন খুব ছোট
ম্যারেজ ডে ভুলে গেলে স্ত্রী খুব রাগ করে, কিন্তু তার মানে কি আমি স্ত্রীকে ভুলে যায়?
ম্যারেজ ডে ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক না? বিবাহের দিন মনে রাখা কি খুবই জরুরী?
জরুরী তথ্য মনে রাখি না?
বিয়ে যদি অনেকগুলো করে থাকেন তাহলে ম্যারেজ ডে ফুলে যাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে, কিন্তু একটি বিয়ে করলে তো মনে রাখা উচিত।
আপনি মনে রাখবেন ভালোবাসা মানে শুধু আবেগকে বুঝতে হবে। যাকে আপনি ভালোবাসেন সে কিসে ভালো বোধ করেন, আপনাকে সচেতন ভাবে তা করতে হবে।
আপনি বুঝতে পারছেন না ম্যারেজ ডে আপনার স্ত্রীর জন্য একটা আবেগের জায়গা।
যে দিনটিতে আপনি আপনার স্ত্রীর জীবন সঙ্গী হয়েছেন, সেদিন টি তার অনেক প্রিয়। এর মধ্য দিয়ে আপনাকে যে তিনি কত ভালোবাসেন সেটা ফুটে ওঠে। অতো বৃষ্টিতে আবেগ অনুভব করুন। আন্তরিকভাবে চাইলে বছরের একটি দিন মনে রাখা কঠিন কিছু নয়।
কিন্তু এই দিনটিতে তাকে উইশ করুন। সুযোগ থাকলে তাকে একটু বেশি সময় দিন, দেখবেন যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে অনেকগুলো মানসিক সাপোর্ট আপনি পাচ্ছেন।
আমার স্বামী আমার সাথে তোমার ভালো আচরণ করেন না, তিনি অন্য মহিলাদের সাথে যে কোন ব্যাপারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন কথা বলতে।
অনেক কিছু জানার পরও কাজ হয়নি?
আমি কি করবো?
ব্যর্থতা আপনার। প্রত্যেক নারীর একটা সহজাত গুণ হচ্ছে তার স্বামী কি সে তার প্রতি আকৃষ্ট হবে সেটা আপনি বুঝতে পারবেন।
আপনি যে্টা চাচ্ছেন আপনার স্বামী আপনার সাথে ভাল আচরন করুক, মনোযোগী হোক তাহলে আপনাকে তো বুঝতে হবে কিভাবে সেটা করতে হবে।
তাহলে তিনি সব ব্যাপারে আপনার সাথে সাচ্ছন্দ বোধ করবেন।
আমার স্বামী আমাকে কোন কাজে স্বাধীনতা দিতে চায় না, এতে তার সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি ঘটে কখনো কখনো আমার ব্রেন গামা লেভেলে চলে যায়। বর্তমানে এই অবস্থা চলছে, এতে কাজ করতে আমার বিঘ্ন ঘট।
সব সময় মনে রাখবেন স্বাধীনতা কেউ কাউকে দিতে চায় না, স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়।
যোগ্যতা দিয়ে মেধা এবং কৌশল প্রয়োগ করে। এজন্য কখনো যোগ্যতা কখনো জ্ঞান, কখনো কৌশল কখনো প্রজ্ঞা এসব বুদ্ধির প্রয়োজন হয়।
আজ পর্যন্ত কেউ স্বাধীনতা পায়নি বরং আরো পরাধীন হয়েছে।
কারণ গরম মাথায় কোনো ভালো কিছু অর্জন হয়নি। নিয়মিত মেডিটেশন করুন। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন।তাহলেই সুযোগ বুঝে আপনার পছন্দের কাজ করিয়ে নিতে পারবেন।
স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে তোমরা ভীষন আনকালচার কথার পর কিভাবে মেজাজ ঠিক রাখা যায়?
মেজাজ ঠিক রাখতে পারলেন না মানে স্ত্রীর কথার স্বপক্ষে আপনি আরেকটা প্রমাণ উপস্থাপন করলেন, আসলে আপনি রেগে গেলে হেরে যাবেন। আর আয়নার সামনে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন স্টিকার লাগিয়ে রাখুন তাহলে মেজাজ খারাপ করার সম্ভাবনা কমে যাবে।
আমার স্ত্রী প্রায়ই এশার নামাজ না পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে। নামাজ পড়ার জন্য তাকে রাতে ডেকেছিলাম তা সে মানতে চায় না। আলোচনার জন্য প্রায়ই এরকম হয় উল্লেখ্য বাচ্চাকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে সে নিজেই ঘুমিয়ে পড়ে কি করনীয়?
করণীয় খুব সহজ। বাচ্চাকে আপনি ঘুম পাড়াবেন। আপনার স্ত্রী তখন নামাজ পড়বেন। আসলে বাস্তবতাকে বুঝতে হবে। ডাকার পরদিন যদি কখন কেউ বলে তাকে ডাকা হয়নি তাহলে তার ক্লান্তি সহজে বোঝা যায়।
তার উপর রাগ না করে তাকে তিনি যেন নামাজ পড়তে পারেন সেই ব্যবস্থা আপনাকে করতে হবে।
তখন দেখা যাবে, তাই নামাজ পড়তে পারছেন আর আপনার রাগ হচ্ছে না সাধারণভাবে আমরা সবসময় অন্যকে অভিযুক্ত করতে চাই। কিন্তু অপরপক্ষকে আপনি কীভাবে সহযোগিতা করলে সেই ভুল করা থেকে বিরত থাকতে পারে সেই চেষ্টা অধিকাংশ সময়ই করি না। অথচ সেটা করতে পারলে দেখতাম জীবনটা কত সুন্দর শান্তিময় হতে পারে।
ঘরে প্রবেশের সময় আমার অনুরোধ সত্বেও আমার স্বামী আমার পাপোশ এ জুতা মোছেন না।
না এক্ষেত্রে কি করনীয়?
পাপোশ জুতো মোছার জন্য জন্যই। যদি তা না করেন তাহলে তো পাপোশের হক আদায় হলো না?
অবশ্য আয়না প্রত্যাশা করে তার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে খুজবে। আয়নার হক হচ্ছে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যে কেউ তার ফিরে তাকাবে।
অর্থাৎ প্রতিটি জিনিস ব্যবহার করার মধ্য দিয়েই তার হক আদায় হয়কর পরিভাষা স্ত্রীকে খুশি করার জন্য হলেও কি এটা করা উচিত।
আমার স্বামী খুব ভালো মনের মানুষ তবে অশান্তির কারণ হলো সে কর্কশ ভাষায় আমাকেও আমার বাচ্চাকে গালি দেয় কি করবো?
খুব ভালো মনের মানুষ হলে তিনি কিভাবে স্ত্রী সন্তানকে কর্কশ ভাষায় গালি দেন?
সে মানুষ কর্কশ ভাষা ব্যবহার করে সে কখনো ভালো মানুষ হতে পারে না।
কখনো ধার্মিক হতে পারে না। কারণ সদাচরণ ই হচ্ছে প্রকৃত ধার্মিক। এর এজন্য আপনার স্বামীর জন্য দোয়া করবেন।