ti Marriage Solution BD | Best Marriage Media in Bangladesh

স্ত্রীর কর্তৃত্বঃপরিবারের কাজে স্ত্রীর ভূমিকা

সংসারে টাকা-পয়সা সহ সব বিষয় স্ত্রীর কর্তৃত্ব করা কি ঠিক?
নাকি স্বামীর কর্তৃত্ব করা ঠিক?

যদি ঘরের বিষয় হয় সাংসারিক ব্যাপার হয় প্রত্যেক পুরুষের উচিত এ কর্তৃত্ব স্ত্রীর হাতে ছেড়ে দেওয়া।

তাহলে আপনি অনেক চিন্তা মুক্ত থাকবেন আপনার পেশাগত উন্নতির দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন। আজ বাজার কিভাবে,রান্নায় তেল বেশি দেওয়া হবে নাকি লবণ বেশি দেওয়া হবে এই চিন্তা ও আপনাকেই করতে হয়।
যদি এই কর্তৃত্ব আপনি করতে চান এর মানে হল খামোখা অশান্তি ডেকে নিয়ে আসা।

আসলে পরিবার মানে কি দেওয়া এবং নেওয়া। আপনার কিছু বিষয়ে ছাড় দিতে হবে কিছু বিষয় স্ত্রী ছাড় দেবেন।

আর বুদ্ধিমান পুরুষেরা সব বিষয়ে প্রথমে ছাড় দিয়ে দেন। যেমন স্ত্রীর শাড়ি কিনতে গিয়ে অনেক স্বামী বলেন এটা নাও, ওটা নাও। কেন স্ত্রীকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন না যে  তিনি কোনটা কিনবেন। তিনি চাইলে আপনি মতামত দিতে পারেন, কিন্তু সিদ্ধান্ত তার।
এক্ষেত্রে স্ত্রী খুশিতে আপনার খুশি হওয়া উচিত।

আসলে সব ব্যাপারেই এর সব সময় একজন লিডার ঠিক হওয়া উচিত। যখন প্রথম দিনেই স্ত্রীকে বলে দিন ঘরের যে কোন ব্যাপারে তুমি লিডার।

আর বাইরের ব্যাপারে স্বাভাবিকভাবেই তুমি যদি আমাকে লিডার হিসেবে পছন্দ করো তবে দায়িত্ব নিতে রাজি আছি। অর্থাৎ আপনি প্রথমে তাকে অধিকার দিলে দিলে অধিকার তিনি আপনাকে এমনিতেই দিয়ে দেবেন।

আর পারিবারিক জীবনে ঘরের দায়িত্ব ক জন ই স্ত্রীর হাতে দিতে পারবেন। তাঁকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজতো তো করতে দেবেন, তো আপনি সুখী হবেন।

কারণ প্রত্যেকের একটা নিজস্ব এলাকায় থাকা উচিত। যেখানে তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন, তাহলে তার মানসিক তৃপ্তি থাকবে মানসিক বিকাশ ঘটবে এবং আপনি ও শান্তিতে থাকবেন।

আর স্ত্রীকে কখনো দাসি বা কর্মচারী মনে করবেন না সবসময় তাকে সহযোদ্ধা, সহযোগী ও বন্ধু মনে করবেন।

তাহলে আপনার প্রতি তার যে অনুরাগ সেটা আসবে ভেতর থেকে। স্ত্রী হিসেবে নিছক কর্তব্য পালন করা আর অনুরাগী হওয়া দুটোর মধ্যে অনেক তফাৎ আছে।

 

স্ত্রীর কাছে অনেক সময় টেকনিক্যাল কারণে মিথ্যা বলতে হয়। এটা কি ঠিক হচ্ছে?

স্ত্রীকে মিথ্যা বলতে হয় এমন কোন টেকনিক্যাল কারণ থাকাই উচিত নয়। অর্থাৎ এমন কোন কাজ করা উচিত নয়, যার জন্য মিথ্যা বলতে হয়।

এক্ষেত্রে টেকনিক্যাল বা জেনারেল নয় মূল বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়, কারণ তিনি না অন্যায়।

যখন অনেক স্ত্রী চায় তার স্বামী তার মা-বাবাকে টাকা পয়সা দিক এবং ঘন ঘন দেখতে চান সেক্ষেত্রে স্বামীকে খুশি হতে হবে। কারণ মা বাবাকে সাহায্য করা তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার কর্তব্য, কিন্তু স্ত্রী যেতে পছন্দ করে না তাই তাকে জানানো অশান্তি।

এক্ষেত্রে তাকে না জানিয়ে অফিসে যাওয়া আসার পথে বা অন্য পথে যদি ছেলে তার কর্তব্য পালন করে তাতে কোনো বাধা নেই।

স্ত্রী তো আর থাকে সারাক্ষণ তাকে পাহারা দিচ্ছে না, তবে স্ত্রী যদি গোয়েন্দাগিরি করে জেনে নেয়ার মানসিকতা হয় সে ক্ষেত্রে তার সাথে সত্য বলাটাই ভাল।
কাজে ন্যায় সঙ্গত কারণ যেখানে স্ত্রী জানলে অশান্তি হবে, এই আশঙ্কায় গোপন করা আর অন্যায়ের ভুল করে সেটা ঢাকার জন্য মিথ্যাচার করা এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। একটি বিশেষ কারণে  প্রথমটি করা যেতে পারে, কিন্তু দ্বিতীয় টি কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়।

SCAN TO VIEW

OUR OFFICES

FOR INFORMATION : 01618871043