পরিবার- পরিবারে সালাম দেউয়ার নীতিঃ
পারিবারিক শান্তির জন্য আমরা কি করতে পারি?
পারিবারিক শান্তি সৃষ্টিতে সালাম আদান-প্রদানের চর্চা কি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে?
পারিবারিক শান্তির জন্য আমাদের পরিবারের সালামের রেওয়াজ চালু করা উচিত। আমাদের পরিবারগুলো থেকে এখন সালামের রেওয়াজ উঠে গেছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা সালাম দেয় না, আমরাও সালাম দেই না। হাই ডেডি ,হাই মাম্মি ,এতে তো শান্তি থাকবে না।
কারণ যে দেশে হাই ডেডি মাম্মির সংস্কৃতি রয়েছে সেখানে কোন পারিবারিক শান্তি নেই।
অতএব পরিবারের সালাম চালু করবেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাচ্চাকে আগে সালাম দেবেন। আসসালামুআলাইকুম মানে হচ্ছে আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। সনাতন ধর্মের যারা আছেন সকাল বেলা উঠে ছেলেমেয়েদের ওম শান্তি বলুন। এই সুখ এবং শান্তির কথাটা বলতে হবে। যখন আমরা পরিবারে সকালবেলা উঠে সালাম বিনিময় প্রচলন করব তখন সমাজে ও আমাদের সালামের প্রচলন শুরু হবে।
৬ মাস চর্চা করুন।
আপনি যখন ছেলেকে আসসালামুআলাইকুম বললেন,ছেলে প্রথমে একটু লজ্জা পাবে এরপর সে প্রতিযোগিতা করবে আপনার আগে সালাম দিতে।
ছেলে মেয়ে যদি বাবা মাকে সালাম দেয় এবং মা বাবা যদি ছেলে মেয়েকে অন্তর থেকে সালাম দেয় দেখবেন ভুল বুঝাবুঝি দূর হবে যাতে ভালো হয়ে যাচ্ছে।
মেডিটেশন যেরকম বোঝাপড়াটা সুন্দর করে,পরিবারের প্রশান্তি আনে,এটা ও সেভাবে কাজ করে।
আর পরিবারে যত প্রশান্তি আসবে তত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশ সুন্দর হবে, ভালো হবে।
শুধু পরিবার ও মা-বাবা কী আদর্শ সন্তান তৈরিতে ভূমিকা রাখে?
জন্য পরিবেশ ও সমাজ ব্যবস্থা কি অধিকতর অনুকূল হওয়া জরুরী নয়?
ঘোড়ার আগে গাড়ি ধরে লাভ নেই ।গাড়ি থাকবে সবসময় গোড়ার পিছনে। ঘোরার আগে যদি গাড়ি ধরতে চান ঘোড়াও কোন দিকে যেতে পারবে না,গাড়িও কোন দিকে যেতে পারবেনা।
পরিবেশ এবং সমাজব্যবস্থা অধিকতর অনুকূল হলেই যে সন্তান মানুষ হবে এমন কোন কথা নেই।
ইউরোপ-আমেরিকার সমাজ ব্যবস্থা অনুকূল কিন্তু সেখানকার সন্তানরা কি আদর্শ সন্তান হচ্ছে?
পরিবার যতদিন পর্যন্ত আদর্শ সন্তান তৈরি করতে না পারছে ততদিন পর্যন্ত সমাজব্যবস্থা কখনো অনুকূলে আসবেনা।
সমাজের যে কোনো পরিবর্তন আসবে পরিবার থেকে, ব্যক্তি থেকে। ব্যাক্তি পরিবর্তন হলে পরিবার, পরিবারের পরিবর্তন হলে সমাজ, সমাজের পরিবর্তন হলে রাষ্ট্র।
উপর থেকে কখনো নীচে পরিবর্তন আসে না।
অতএব পরিবারটা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।