বিয়ে বিবিধ
পরিবারের যেখানে অক্ষম সেখানে বিবাহ ঘটানো কি এত কঠিন সেখানে পরিবারের বাইরের সেটাতো আরো দুরূহ বাস্তব জীবনে চেতনার মিল কি সত্যি সম্ভব?
বাস্তব জীবন এইতো চেতনার মিল হবে কল্পনায় বা স্বপ্নে তো হবেনা আর বাস্তব জীবনে যদি সম্ভব না হতো তাহলে আমরা এত মানুষের ফাউন্ডেশনের সমাবেশ করলেন কিভাবে?
দুজনের চেতনার অমিল মানে কিন্তু এই নয় যে আরেকজন আমার সব কথাই মেনে নিবে তার সাথে আমার ১০০% মিল হবে চেতনার মিল মানে লক্ষ্যের মিল আদর্শের মিল এবং জীবনের মৌলিক বিষয়গুলো দৃষ্টিভঙ্গির মিল।
কিন্তু ছোটখাট ব্যাপারে পার্থক্য থাকবে এবং সে জন্য কিছু ছাড় দিতে হবে কিছু মেনে নিতে হবে।
অর্থাৎ মিল যদি ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে হয় ৪৮ ভাগ ক্ষেত্রে মতভেদ থাকে তাহলে সেটা একটা প্রাণবন্ত গতিশীল স্বাভাবিক সম্পর্ক।
বিয়ের পর একটি ছেলে তার মা-বাবার সাথে থাকছে অথচ কনে কে তার বাবা-মা থেকে পৃথক থাকতে হয় এটা কি ন্যায় সঙ্গত?
বিয়ের পর ছেলেকে মেয়ের বাসায় থাকতে হবে নয়তো মেয়েকে ছেলের বাসায় থাকতে হবে। মেয়ের বাসায় যদি ছেলে থাকে তাহলে ছেলের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব মেয়েকে নিতে হবে।
ছেলেকে যতক্ষণ হতে হবে তখন তাকে হতে হবে ঘর জামাই।
আমাদের সমাজে একটি ছেলে একটি মেয়েকে বিয়ে করছে তার ভরণপোষণের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে। এজন্য বিয়ের পর ছেলেকে মা মেয়ের বাড়িতে যেতে হচ্ছে। আবার দেখুন উপজাতিদের মধ্যে অল্টো নিয়ম। সেখানে বিয়ের পর ছেলেরা মেয়ের বাড়ি যায়। কারণ ছেলের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব মেয়ের। অর্থাৎ সমাজের রেওয়াজ সেভাবে আসা যাওয়া হয়।
ঢাকা শহরে বিয়ের জন্য যেসব মিডিয়া সেন্টার গড়ে উঠেছে সেগুলো সহায়তা নেয়া কি ভালো মিডিয়া সেন্টারগুলোকে নির্ভরযোগ্য?
এ পর্যন্ত মিডিয়া সেন্টারে যতগুলো বিয়ে দেখেছি একটি কেউ সফল হতে দেখিনি হয়তো আমি সবটাই জানি না অথবা যেগুলো ব্যর্থ হয় সেগুলোই আমাদের কাছে এসে মিডিয়া সেন্টার অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব সবসময় ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ নেওয়া উচিত।
কোনো মেয়ের যদি ইচ্ছা থাকে সে যদি মাস্টার্স পাশ করে এবং তেমন কোনো চাকরি না পায় যদি তেমন কোন বিয়ের প্রস্তাব না আসে এবং সে পরিবারের বাবা না থাকলে ভাইয়েরা গুরুত্ব না দিলে কোন প্রস্তাব না দিয়ে তার কি করনীয় বয়স যত বেড়ে যাচ্ছে?
এক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে এমন ছবি দেখা আর যেসব বান্ধবীর বিয়ে হয়েছে তাদেরকে দিয়ে যাকে পছন্দ তার খোঁজখবর নিতে পারেন বিয়ের ইচ্ছা থাকলে ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে হবে।
বিয়েতে উপহার দেওয়া কি অপরাধ উপহার না দিলে সমাজ ভালো মনে করে না কি করা উচিত?
এই সামাজিক উপহার কে বর্জন করা উচিত আমরা কিন্তু এখন বিয়েতে কোন উপহার দেয় না এবং কোনো উপহার প্রত্যাশা করি না। আপনার বিভিন্ন সদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে যান কোন রকম কান্না নিয়ে অতএব বিয়ের অনুষ্ঠান তৃপ্তিসহকারে খান প্রাণভরে দোয়া করুন এবং আনন্দচিত্তে ফিরে আসুন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে গিফট ছাড়া যাওয়া যাবে না এটা গুজব ছাড়া আর কিছু না। এই গিফটগুলো কোন কাজ আসে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো বন্ধ অবস্খাতেই থাকে। সেগুলো আবার কারো বিয়েতে দেওয়া হয়। তো এটা একটা সামাজিক অপ চার্জার আসলে কোনো প্রয়োজন নেই আমরা সব ধরনের সামাজিক অপচয় সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই।
অতএব আপনারা নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানের গিফট নিয়ে যাবেন না আর নিজেদের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আগেই বলে দেবেন যে ভাই গিফট আনার দরকার নেই।
আমরা কি যাইওনা যাইওনা আসলেই গিফট কিনতে গিয়ে অনেক আত্মীয় স্বজনের যে দুর্দশা হয় সেটা ভাবা হয় না। দেখলে কষ্ট হয় অথচ কী আশ্চর্য! গিফট নেওয়ার জন্য আলাদা আলাদা টেবিল থাকে সেখানে আবার লেখা থাকে কে কে কি গিফট দিলো, এটা যখন খোলা হয় তখন এগুলো নিয়ে আবার কোথায় দেওয়া উচিত ছিল শোনাচ্ছে এটা লিখে রাখো ওর মেয়ের বিয়ে তো কাচের মগ দেবো।