প্রসঙ্গ বহুবিবাহঃবহুবিবাহ নিয়ে মতামত

আমাদের সমাজে পুরুষদেরকে যখন বলতে শুনি আরে আমাদের নবীজি দশটি বিয়ে করেছিল।

কাজে আমরা তিন চারটে বিয়ে করলে সমস্যা কি ছেলেরা বিয়ে করতেই পারে তখন খুব কষ্ট লাগে জানি নবীজি কোন কারণ ছাড়া কোন কিছু করেননি তার সবকিছু পরিষ্কার জানিনা আপনি একটু পরিষ্কার করে বলবেন প্রশ্নটা আপনা করার জন্য অপরাধ নেবেন না ভুল হলে আল্লাহ যেন মাফ করেন?

যে পুরুষদের এসব কথা বলতে শুনেছেন তাদেরকে বলুন যে ঠিক আছে তিন-চারজন বিধবাকে বিয়ে করো।

ছেলে মেয়ে আছে এমন বিধবাকে মেয়ের বিয়ে করো। দেখবেন মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছে। এসব কথা যারা বলে তাদেরকে এক অর্থে বদমাশ বলা যায় বদমাইশি করার জন্য তারা এ ধরনের কথা বলে আর এ ব্যাপারে নবীজির সাল্লাল্লাহু ফারেন্স দেওয়াটা ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

দুই নম্বর হচ্ছে কেউ যদি স্ত্রীর লিখিত পূর্বানুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়ে করে কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করার দরকার নাই ইস্ত্রি তাকে এমনি জেলখানায় পাঠিয়ে দিতে পারে। কারন স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করা আমাদের দেশে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

অতএব সবকিছুর বিষয় হচ্ছে পরিবেশ পরিস্থিতি সামাজিক অবস্থানের পর।

আর কিছু হচ্ছে সার্বজনীন। একাধিক বিয়ের ব্যাপারে কোরআনে অনুমতি দেওয়া আছে যখন এই অনুমতি দেয়া হয় তখন ওহুদের সংঘর্ষে ১০ জন সাহাবী শহীদ হন তাদের স্ত্রীরা বিধবা হয়ে জান একজন নারীকে সেইসময় মর্যাদা দেওয়ার একটাই উপায় ছিল তাকে বিয়ে করা কুরআনে বলা হয়েছে ১ ২ ৩ ৪  জুন পর্যন্ত তারপর বলা হচ্ছে যদি তুমি তাদের সাথে স্মরণ করতে পারো আর যদি না পারো তাহলে এক বীর উত্তম আমরা শুধু প্রথমাংশ পড়েই মন্তব্য করি পুরোটা পড়িনা।

তো একাধিক বিয়ের অনুমতি রয়েছে সেটা কখন যখন প্রয়োজন যেমন, বংশধারা রক্ষার জন্য প্রয়োজন হতে পারে কারো স্ত্রী যদি সন্তান জন্মদানের শারীরিকভাবে অক্ষম হন তখন তিনি যুক্তিসঙ্গতভাবে বিয়ে করতে পারেন কিন্তু অনুমতি থাকা এবং করে ফেলা একনা।

একটা হচ্ছে অনুমোদন আরেকটা হচ্ছে প্রাক্টিস দুটো বিষয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।

আর নবীজি সাল্লাল্লাহু বিএফ দশটি করেননি করেছিলেন বারোটি আমরা যদি দেখি তিনি কাদেরকে বিয়ে করেছেন একমাত্র হযরত আয়েশা রাঃ এবং হযরত মারিয়া এই দুজন ছাড়া আর কেউ কুমারী ছিলেন না।

যদি জৈবিকতার প্রয়োজন এ বিষয়গুলো বিয়ে হত তাহলে তো তার জন্য কুমারী বিয়ে করাটাই স্বাভাবিক ছিল আর সেটা তার জন্য মোটেই কঠিন ছিল না কারণ তিনি একে তো ধর্মীয় প্রধান তার উপর রাষ্ট্রপ্রধান অর্থাৎ রাজা।

তার জন্য তো সুন্দরী কুমারী মেয়ের কোন অভাব হওয়ার কথা না।

স্পষ্টতই বোঝা যায় তিনি জৈবিকতার বিবেচনায় এসব বিয়ে করেননি।

তার প্রথম স্ত্রী বিবি খাদিজা তার বয়স ছিল 40 বছর তার চেয়ে 15 বছর বেশি নবীজির সাথে বিয়ের আগে তিনি দুবার তিনবার বিধবা হয়েছিলেন মা ফাতেমা ও নবীজির চারকন্যা দুটো সন্তানের জননী ছিলেন তিনি নবীজির সাথে তার সম্পর্ক যতটা না জরুরি তার চেয়েও অনেক বেশি মানসিক তিনি তাকে এত ভালবাসেন যে মৃত্যুর পরেও তাকে তিনি ভুলতে পারেননি।

একবার হযরত আয়েশা রাঃ এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করলে তিনি বলেছিলেন আমি এখনো তাকে ভালোবাসি কারন সে আমার প্রতি অতি বিশ্বস্ত ছিল যখন মানুষ আমাকে অবিশ্বাস করেছে তখন সে আমাকে বিশ্বাস করে সে যখন মানুষ আমাকে সাহায্য করতে ভয় পেত সে অটল পাহাড়ের মত পাশে দাঁড়িয়েছে সে আমার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগী ও আমার সন্তানের জননী ছিল।

এক কথায় আমরা বলতে পারি বিয়ের মধ্য দিয়ে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারীদেরকে সম্মান করেছেন তাদের সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছেন চেতনার বিস্তারকে সুসংগত করেছেন।

SCAN TO VIEW

OUR OFFICES