জীবনসঙ্গী

একজন জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী হিসেবে  যেকোন  একজন কে বেছে নেওয়া  ভালো নয় কারণ সে ক্ষেত্রে তার চিন্তা চেতনা, চাওয়া-পাওয়ার সাথে অসামঞ্জস্য থাকে।

এটা হতে পারে কারণ  আজকাল অনেকের ক্ষেত্রে বিষয়টা হচ্ছে, বিয়ের কথাবার্তা হয়ে যাওয়ার পরও হয়তো কোন এক পক্ষ অনুরোধ করছে যে তাদের পাত্র-পাত্রী যেহেতু শিক্ষিত তাই অপরপক্ষের  পাত্র-পাত্রী  শিক্ষিত হলে ভালো হয়। যখন জানা গেল যে, ওই পাত্র-পাত্রী শিক্ষিত এবং তারা এটা চেয়েছেন।

আর একজন শিক্ষিত ব্যক্তির এই প্রত্যয় এবং ব্যক্তিত্ব থাকা উচিৎ যে বিয়ের পর তার স্বামী বা স্ত্রীকে সে যেন শিক্ষিত  করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। একজন শিক্ষিত মানুষ যদি বাইরের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন তাহলে তার স্বামী বা স্ত্রীকে উদ্বুদ্ধ করতে পারা উচিত।

যদি কাউকে জীবনসঙ্গী করতে হয় তাহলে প্রথমে দেখতে হবে তার উপযুক্ত হওয়ার জন্য গুণাবলী গুলো আছে কিনা। সেইসঙ্গে দেখতে হবে, সেই মেয়ে/ছেলের জীবন সঙ্গীর প্রয়োজন আছে কিনা। তারপর যদি ছেলে হন তাহলে অভিভাবকদের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে হবে আর যদি মেয়ে হয় তাহলে মন ছবি দেখতে থাকতে হবে।

বিয়ের ক্ষেত্রে দুজনে শিক্ষিত না হলে কি কোন অসুবিধা হতে পারে?

শিক্ষিত হলে সমঝোতার বিষয় থাকে। অবশ্য যদি তিনি আন্তরিক এবং সক্রিয় হন তারপর ও যদি সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন না হয় তা হলে শিক্ষিত হয়েও কিন্তু সুখের সংসার নাও হতে পারে। আবার শিক্ষিত নন কিন্তু সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে মিশতে পারেন  তাকে নিয়ে ও কিন্তু সুখী হওয়া যায়। এবং বিয়ের পর পর তাকে চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। সেটাই বরং ভালো হবে। সে ক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কে আপনি একাত্ম করতে পারেন।

SCAN TO VIEW

OUR OFFICES