বিয়ের সময় - দৃষ্টিভঙ্গি ও করণীয়
প্রাপ্তবয়স্ক একটি ছেলে বা মেয়ে জীবনের যে-কোন পর্যায়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যদি সে মনে করে বিয়ের জন্য শারিরীক,মানসিকভাবে সে প্রস্তুত এবং বিবাহিত জীবনের দায়িত্ব নেয়ার সামর্থ্য তার আছে।মনে রাখতে হবে বিয়েটা শুধু জৈবিক চাহিদা পূরণের উপায় নয়,শুধু হানিমুন বা রোমান্টিকতা নয় বরং বিয়ে হচ্ছে একটি দায়িত্ব।
এ দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত মনে করলেই একটি ছেলে বা মেয়ে তার যে- কোন বয়সে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।এক্ষেত্রে এটাও সত্য,প্রত্যেকটি কাজের একটি সময় রয়েছে।কথায় আছে,সময়ের এক ফোঁড়,অসময়ের দশ ফোঁড় দিয়েও হয় না। একারণে কবে বিয়ে করবেন এ সিদ্ধান্তটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
এখন প্রশ্ন হল কাকে বিয়ে করবেন? কোন সময়ে করবেন?
সত্যিকারের সুখী আনন্দপূর্ণ পরিবার গঠনের জন্যে একটি ছেলে বা মেয়ের তাকেই বিয়ে করা উচিত যাকে সে সম্মান করতে পারে। তার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুখে-দুঃখে একসাথে এগিয়ে যেতে পারে।এমনকি তাকে সহযোদ্ধা মনে করতে পারে ,পারে সবকিছু বিসর্জন দিতে।
তাই বিয়ের জন্য শুধু সৌন্দর্য, অর্থবিত্ত বা উচ্চ ডিগ্রী নয়, ভালো মানুষ খুঁজতে হবে যার সাথে চেতনার মিল আছে।পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়ে কেউ বিয়ে করতে পারে না, কারণ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠার কোন শেষ নাই। একটা লক্ষ্যে পৌছার পর মনে হতে পারে আপনার আরেকটা লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে তারপর আবার আরেকটা লক্ষ্যে।অর্থাৎ এটা একটা নিরন্তর প্রয়াস। অর্থাৎ কেউ যদি প্রয়োজন অনুভব করেন তাহলে যেকোনো সময়েই তিনি বিয়ে করতে পারেন। আপনার নিজের সিদ্ধান্তের প্রতি যদি আপনার প্রত্যয় থাকে তাহলে মা বাবাকে অবশ্যই বলা যেতে পারে।এজন্য প্রয়োজন সবার এবং মা বাবার প্রতি শ্রদ্ধার মনোভাব।তাহলে দেখবেন আপনি বোঝাতে পারছেন।
তাই বাস্তবতার নিরিখে আমরা বলতে পারি,বিয়ে যদি করতেই হয় সময়মত করবেন।অনেকে এমন সময় বিয়ের জন্য ‘হ্যা’ বলেন যখন তার সমসাময়িক পাত্র/পাত্রী খুঁজে পাওয়া কঠিন।একটি ফুল যখন কলি হয়ে ফোটে তখন তার আবেদন আর যখন সে পূর্ণ ফুল হয়ে জীর্ণ হতে থাকে তার আবেদন নিশ্চয়ই এক নয়!