ভার্চুয়াল মরীচিকা:
প্রাক্টিক্যাল একশন বাদ দিয়ে ভার্চুয়াল জগতে একশন করলে আপনিও ভার্চুয়াল হয়ে যাবেন।
বাস্তব জীবনে তো কিছু হবে না।
আপনি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেং ঘুরছেন আর টাকা পয়সা ইনকাম করছে ফেসবুক কোম্পানি।
আপনি মোবাইল ফোনের সারাদিন কতক্ষণ ব্যয় করছেন?আর বাস্তব কাজ কতটুকু করছেন? আপনার মন ছবির জন্য নীরবে যে কাজ করা প্রয়োজন এই কাজ আপনি কতটুক করছেন?
পড়তে বসেছেন, বান্ধবী বা বন্ধু অনেকদিন পর ফোন করেছে। আপনি কথা বলছেন।ওহ! কতদিন পর ফোন করেছে! পড়াটা তো পরেও করা যাবে, বান্ধবীর সাথে একটু কথা বলে নি।
বান্ধবী কিন্তু অবসরে তার কোন কাজ নেই বলে ফোন করেছে আর আপনার তখন কাজের সময়।
আপনি কাজ বাদ দিয়ে তার সাথে গল্প করছেন।একটু তো গল্প।একটু একটু করে আমরা আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় গুলো নষ্ট করে ফেলে যে কারণে অধিকাংশ মানুষের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় বা মানুষের মন ছবির লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না।
আপনারা জানেন সেই ঘটকের গল্প।
ঘটক পাত্রের বিবরণ দিচ্ছে যে, পাত্র খুব ভালো তবে মাঝেমধ্যে একটু পেঁয়াজ খায়।... একটু পেঁয়াজ খায় তাতে কি হবে? পেঁয়াজ কখন খায়? যখন একটু মদ খায়। মদ কখন খায়?
যখন একটু বাইজি বাড়ি যায়।
তো এই একটু হচ্ছে সবচেয়ে বিপদজনক।
এটা আমাদের জীবনের গতিটা কে নষ্ট করে দেয়। কিভাবে আপনার গতি নষ্ট করা হয়?
সিনেমা দেখে আপনি ফ্যান্টাসি জগতে হারিয়ে যান ।
এখনকার সিনেমার কাহিনীগুলোর রূপকথার কাহিনীকেও হার মানায় মিডিয়ার ৯০%ই হচ্ছে ফ্যান্টাসি। এখন রূপকথাগুলো নিয়ে সিনেমা বানানো হচ্ছে।
আপনি যেন আলাদিনের জগতে হারিয়ে যেতে পারেন।
আপনার জীবনকে গড়ার জন্য আপনি যেন কাজ না করেন।কল্পনার জগতে থেকে আপনি যেন সত্যিকারের জীবনবোধ,জীবন-জিজ্ঞাসা নিয়ে মাথা ঘামাতে না পারেন।
আর এখনকার সবচেয়ে বড় সময়খাদক হলো টিভি সিরিয়াল আর স্মার্টফোন। এগুলোর পেছনে আপনি নীরবে আপনি আপনার সময় ক্ষয় করছেন।
ফলাফল হচ্ছে, সমাজের গীবত, পরচর্চা, কুটনামি, চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আর ভায়োলেন্স বেড়ে গেছে।
ফ্যান্টাসি বা কল্পনার জগত থেকে আপনি কখনো সফল হতে পারবেন না। যে সফল সে কখনো ফ্যান্টাসিকে প্রশ্রয় দেয় না।
কারণ সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ দরকার চাই নিরলস পরিশ্রম। আর এটা একজন মানুষ তখনই এটা করতে পারে যখন সে বিশ্বাসে অবিচল থাকবে।অর্থাৎ বিশ্বাস এবং আশা এই দুইটাতে অবিচল থাকলে একজন মানুষ নীরবে কাজ করে যেতে পারেন। এবং এজন্য আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম খুব সুন্দর করে বলেছেন “বিশ্বাস আর আশা নাই যার, যেও না তাহার কাছে। নড়াচড়া করলেও সে মরা, জ্যান্ত সে মরিয়াছে।”
আর এই বিশ্বাস এবং আশাকে জিইয়ে রাখার জন্যই প্রয়োজন ইতিবাচক পরিমণ্ডল। কারণ আমাদের চারপাশে সাধারণভাবে নেতিবাচক লোক বেশি। প্রতিহিংসাপরায়ণ, ঈর্ষা পরায়ন এবং হতাশাবাদী লোক বেশি যারা ওই ফ্যান্টাসির ওয়ার্ল্ডে নিজেরা থাকতে চায় এবং আমাদেরকে রাখতে চায়। বাস্তব জীবনে সরাসরি একশনে তারা যেতে চায় না। সবসময় প্রাকটিক্যাল একশনে থাকার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট উপায়গুলো হলো মেডিটেশন। মেডিটেশন এ আত্মনিমগ্নতা আপনাকে প্রাকটিকাল অ্যাকশনে অনুপ্রাণিত করবে।