প্রেমে ব্যার্থঃ
আমি একটি মেয়েকে ভালবাসতাম। তার বিয়ে হয়ে গেছে। কেন যেন তাকে ছাড়া অন্য কোন মেয়ের জন্য ভাবতে পারিনা, সারাদিন কান্নাকাটি করি মনে অনেক কষ্ট হয় আপনি হয়তো বলবেন যে, একা একা কষ্ট পাওয়া দুঃখ-বিলাসীতা ছাড়া আর কিছুই নয় কিন্তু কিভাবে ব্যাপারটাকে মেনে নিয়ে জীবনটাকে আবার সাজাতে পারব। মাঝে মাঝে মনে হয় মেয়েটাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমি না আবার পাগল হয়ে যায়।
এটা হচ্ছে বয়সের রোগ। আপনি নিশ্চিত থাকুন যে, আপনি কোনদিন এটা নিয়ে পাগল হবেন না। মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে-এটাই স্বাভাবিক এবং সত্য। সে হয়তো আপনার সহপাঠী ছিল। আপনি কবে প্রতিষ্ঠিত হবেন, কবে সে আপনাকে বিয়ে করবে?
তার চেয়ে প্রতিষ্ঠিত কাউকে বিয়ে করে নিশ্চিত জীবন বেছে নেওয়ায় সে পছন্দ করেছে।
কারণ প্রত্যেক মেয়েরাই প্রতিষ্ঠিত স্বামী চায়।
আর যে কাউকে ভাল লাগতে পারে। এখন আপনার সত্যিই যদি তাকে ভালো লেগে থাকে তাহলে তার জন্য দোয়া করবেন, সে যেন সুখী হয়। কারণ ভালোবাসা হচ্ছে দেয়ার নাম কিন্তু ভালোবাসা পাওয়ার নাম নয়।
আমি অমুকের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করলাম- এটা হচ্ছে ভালোবাসা, এটা হচ্ছে প্রেম ।
আমরা যেটা করি সেটা আমি অমুককে চাই আমি অমুককে না পেলে আমি বাঁচবো না। যদিও অমুকের জন্য আপনার সত্যি ভালোবাসা থাকতো, তাহলে বিয়ে হওয়ার পরেও আপনি তার জন্য দোয়া করতেন। সহজ উপায় হচ্ছে আপনি তাকে ভুলতে চেষ্টা করবেন না। যখনই তার কথা মনে হবে তখনই তার কল্যান এর জন্য দোয়া করবেন আর চেষ্টা করবেন কোন ভাল কাজে ব্যস্ত হয়ে যেতে। যখন কান্না আসে,কাদবেন।
বিষয়টিকে খুব সহজভাবে গ্রহণ করুন।তাহলে খুব দ্রুত ভূলে যেতে পারবেন।
কিন্তু ভুলতে চেষ্টা করবেন না কারণ যত ভুলতে চেষ্টা করবেন তত বেশি বেশি মনে পড়বে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটা কবিতা আছে- “যাহার লাগি চক্ষু বুজে বহিয়ে দিলাম অশ্রুসাগর, তাহারে বাদ দিয়েও দেখি বিশ্বভুবন মস্ত ডাগর। মনেরে তাই কহ যে, ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে “
আপনার এসব কান্নাকাটি আস্তে আস্তে এমনিতেই কমতে থাকবে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে, সৃজনশীল কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখা।ফাউন্ডেশনের কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।কিছুদিন পরে নিজেই অবাক হবেন-ঐ মেয়ের জন্য কেদেছিলাম! কী বোকা ছিলাম আমি!