পরকীয়াঃ
আসলে পরকীয়া একটি রোগ।ভার্চুয়াল ভাইরাস ও পাশ্চাত্য অপসংস্কৃতির প্রভাবে এ সামাজিক ব্যাধি এখন সমাজের বিস্তার লাভ করেছে। পরগাছা আসলে দাস কে নষ্ট করে দেয়। পরকীয়া সব সময় পরগাছার মত। যিনি পরকীয়ায় জড়ালেন তিনি তার আসল গাছকে নষ্ট করবেন। গাছ নষ্ট হওয়ার পর তিনি বুঝতে পারলেন তিনি কি হারিয়েছেন।
স্বামীর বন্ধুর সাথে রোমান্টিক আলাপ নিঃসন্দেহে পারিবারিক শান্তির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যে কারো সাথে আলাপ করা যাবে কিন্তু তার একটা মাত্রা থাকতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে আপনার দোয়া ছাড়া কিছু করার নেই। আমার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক ব্যাপারে কখনো নাক গলাতে যাবেন না। এতে বিষয়টিতে আরো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
পরকীয়া নিয়ে একটি সত্য ঘটনা বলি।
আমাদের এক গ্রাজুয়েট তার অসুস্থ স্ত্রীকে টানা দশ বছর অক্লান্তভাবে সেবা-শুশ্রূষা করেছেন। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তার বাসাটাকে হাসপাতাল বানিয়ে ফেলতে হয়েছিল। সারাক্ষণ তার দেখাশোনা করতে হতো। এজন্য তার ব্যবসা লাটে উঠলো। সবকিছু হারাতে হল। কিন্তু তার কথা ছিল স্ত্রী যদি না থাকে তাহলে ব্যবসা দিয়ে কি হবে?
তার স্ত্রীর যে অসুখ ছিল তাতে যে কোনো সময় মারা যেতে পারতেন।
সবাই বেঁচে ছিলেন এতগুলো বছর। মৃত্যুর পরেও 10-15 বছর কেটে গেছে। ভদ্রলোক আর বিয়ে করেননি। দুটো মেয়ে আছে তার।
স্ত্রী স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে এই মেয়েদেরকে মানুষ করেছেন।
এক মেয়ে ডাক্তার। আরেক মেয়ে ফার্মাসিস্ট। দুজনই এখন প্রতিষ্ঠিত।
ভালো-মন্দ মিলিয়ে মানুষ। একজনকে দেখে আরেকজনকে বিচার করা যায় না।আর একজনের স্বামী বা স্ত্রীর খারাপ কাজ করছে বলেই যা আপনার স্বামী বা স্ত্রী খারাপ কাজ করবে এটা মনে করা পাপ।
প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা। আপনার স্বামীকে বিচার করবেন আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে। অন্য পুরুষের আলোকে নয়।
যদি সব পুরুষই এক রকম হতো তা হলে সমস্যা থাকতো?
আবার সব নারী যদি খারাপ হতো তাহলে কি সংসার টিকে থাকত?
খারাপ অংশগুলোকে আমরা বাদ দেবো ভালো অংশগুলোকে আমরা গ্রহণ করব।