অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান
অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে সন্তান গর্ভে চলে এলে কি ভ্রুণ অবস্থায় তাকে হত্যা করা যায়?
ভ্রুণ মানেই কিন্তু একটা প্রাণ আর প্রাণ হত্যা করার অধিকার কারো নেই। আসলে ভ্রুণ হত্যা করা মহাপাপ।অনেকে আবার আর্থিক সামর্থের কথা চিন্তা করে ভ্রুণ হত্যা করে। কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ তার রিজিক নিয়ে পৃথিবীতে আসে। আর এমনও হতে পারে তার উসিলাই আপনার রিজিক ও বেড়ে যাবে।
অবশ্যই পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন তোমরা দারিদ্র্যের ভয়ে তোমাদের সন্তানদের কে হত্যা করো না। তোমাদের ও তোমাদের সন্তানদের রিযিকদাতা আমি। নিশ্চয়ই সন্তান হত্যা মহাপাপ।
অতএব যদি অপ্রত্যাশিতভাবে গর্ভসঞ্চার হয়। তখন গর্ভস্থ সন্তানকে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে করা যাবে না। কারণ প্রভুর রহমত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে কারণ গর্ভস্থ সন্তানকে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে করলে সেটা সে ঠিকই বুঝতে পারে ফলে অনেক ধরনের মানসিক ত্রুটি নিয়ে তার বিকাশ হতে থাকে যা পরবর্তীতে আপনাদেরই কষ্টের কারণ হবে।
প্রত্যেক মা-বাবাই চাইল্ড সন্তান সন্তান হিসেবে গড়ে উঠুক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোন কোন সময় তা হয় না তখন মা-বাবার করণীয় কি?
আসলে সন্তান সন্তান হয়ে বেড়ে উঠুক এটা চাওয়া আর সন্তানকে উপযুক্ত করে লালন-পালন করা এদের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। কারণে দুর্ভাগ্যের শরীফের প্রথম দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একসময় প্রধান উৎস ছিল আবহাওয়া। কিন্তু এখন অধিকাংশ দম্পতির দৃষ্টিভঙ্গি হলো বিয়ের পর প্রথম ২ ৪ বছর টোনাটুনির মতো ঘুরে বেড়ায়। তারপর দেখা যাবে ঘটনাচক্রে জন্য এবং অনিচ্ছাসত্ত্বেও সন্তানের আগমন কে মেনে নিতে হয়। তখন যে বহু সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় সে জন্মায় মানসিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা নিয়ে হয়তো এর প্রভাব আগে থেকে মুক্ত হতে পারে না।
কারণ সমস্ত হওয়ার আগের পুরোনো অবস্থা থেকে যে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এবং অনুভূতি দিয়ে আসে সচেতনা মনস্তত্ত্ব ইত্যাদি প্রভাবিত হয় এটা এখন গবেষণালব্ধ সত্য।
তাই সমাজবদলের পালাই বিয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতেও এখন থেকে এ পরিবর্তন এসেছে তখন থেকে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে সন্তান সংক্রান্ত নানা জটিলতা।
আগে বাবারা ব্যস্ত থাকতেন মাই সন্তানের লেখাপড়া করাতেন। বাবার ছিল শাসন সন্তান রা মাথা পেতে নিব কিন্তু এখন তো বাবা ব্যাস্ত থাকে। মাও ব্যস্ত থাকেন। তাহলে কোথায় যাবে সন্তান?
হয়তো বলা যাবে যে জীবিকার প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। সময় দেওয়ার সুযোগ কোথায় তাহলে এটা মা বাবা হওয়ার আগেই চিন্তা করা উচিত ছিল যে সন্তানকে সময় দিতে পারবেন কি না ?কারণ সন্তানকে যদিও আপনি সময় দিতে না পারেন তাহলে সন্তান আপনার যাইহোক সন্তান হবে।
কারণ আপনি যদি আপনার সন্তানকে সময় না দিতে পারেন তাহলে সে সন্তান আর যাই হোক সে সন্তান হতে পারবেনা। আর সময় দেয়ার ক্ষেত্রেও কত সময় দিচ্ছেন সেটা নয়। সময়টা আপনি কত আন্তরিকভাবে দিচ্ছেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি হয়তো তার পাশে বসে আছেন কিন্তু টিভি দেখছেন বা অন্য ফোনে কথা বলছেন। এটা তো সময় দেওয়া নয় তাকে মনোযোগ দিতে হবে আমরা সন্তানকে মনোযোগ না দিয়ে জিনিসগুলি যেমন খেলনা দিয়ে পুতুল আইপ্যাড কম্পিউটার বা কার্টুন দেখতে চাই।।
নতুন সেই খেলনা বাটির আকর্ষণ কতক্ষণ ।কিছুক্ষণ পরেই হয়তো তাকে একঘেয়েমি হয়ে বসে। বিরক্ত হয় একপর্যায়ে তার বিরক্তি এবং ক্ষোভ জমা হতে থাকে মা-বাবার প্রতি অথবা টম এন্ড জেরির কার্টুন দেখে দেখে দুষ্টু হওয়ার প্রবণতা তার মত সৃষ্টি হয় ।সন্তানকে সুযোগ্য সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তরিকভাবে সময় দেওয়া এবং কোয়ালিটি সময় দেয়ার কোনো বিকল্প নেই।