বাচ্চাদের পড়াশোনা

পাঁচ-ছয় বছরের বাচ্চা যদি করতে না চায় ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে না চায, তাহলে মা তাকে মেরে ধরে পড়াতে চাওয়া বা খাওয়ানো এর মধ্যে কোন যুক্তি আছে?

না যুক্তি নেই বরং মেয়েকে খাওয়ানোর জন্য একটা কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। খাওয়ার নিয়ে মেয়ের সামনে বসে মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলতে পারেন ঠিক আছে। তুমি তো খাবেনা আমি খাচ্ছি। এই বলে এক লোকমা।আপনার মুখে দেবেন এরপর আরেক লোক মা। এমনও হতে পারে খাওয়ার ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ হচ্ছে সে আপনার কাছ থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে খেতে শুরু করবে।কারণ তার দক্ষতা আছে আর খাবার দেখলে তো আরো ক্ষুধা লাগে।

অর্থাৎ আপনাকে বুঝতে হবে মেরে ধরে সবকিছু হয়না কারণ অনেক বাচ্চা মাকে ভাবে বিরক্ত করে মজা পায়। তার কাছে এটা আমাকে কাছে পাওয়ার একটা বাহানা কারণ ছোট হলেও সেটা বোঝে সে যদি ভোলা ভোলার মত খেয়ে নেয়, তাহলে মা তো তাকে খাওয়ানো শেষ করে আর একটা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। কিন্তু না খেলে ততক্ষণ পর্যন্ত মায়ের মনোযোগ ধরে রাখতে পারবে আর পড়ার ক্ষেত্রে মেরে ধরে লাভ নেই। তাই তাকে একটা স্বপ্ন, একটা মনোযোগী দিতে হবে। পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে হবে তাহলে সে নিজে থেকেই পড়তে চাইবে।

আমার মেয়ের বয়স ২১ মাস। খাবারের প্রতি তার খুব অনীহা। স্বাস্থ্য মোটামুটি ভালো তাকে খাবার দেওয়ার পর খেতে না চাইলে, পুলিশ তুমি যদি খেতে না চাও তাহলে ভূত মামা এসে তোমাকে চিমটি কেটে দেবে। আর ভালোভাবে খেয়ে ফেললে তোমাকে মজার মজার উপহার দিয়ে দিবে। এটা কি ঠিক হচ্ছে?

মোটেই না। ভূত আবার মামা হয় কিভাবে ভূতকে মামা বানাবেন না। মেয়েকে ভয় দেখাতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে যে বাচ্চার অবস্থা দেখে আপনি নিজে ভয় পাওয়া শুরু করেছেন। বাচ্চাকে কখনো ভয় দেখাবেন না, উদ্বুদ্ধ করবেন।

আমরা খাবার নিয়ে অহেতুক চিন্তা করি একটা স্ট্যান্ডার্ড ধরে নি মনে করি বাচ্চাকে এই পরিমাণ খাওয়াতে হবে। তাহলে প্রত্যেকেরই খাওয়া আলাদা কেউ কেউ অনেক খাই কিন্তু সে তুলনায় অনেক বেশি নয়। আবার অনেকের পানি খেলে ওজন বেড়ে যায়। অতএব খাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ নয় গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাচ্চার এলার্জি কিরকম, বাচ্চা কতটা দৌড়াদৌড়ি করে। বাচ্চার মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য আছে কিনা সে সুস্থ কিনা? অসুখ-বিসুখ থেকে যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে চা খাই, শোকর আলহামদুলিল্লাহ।

আর খাওয়ার জন্য বেশি জড়াজড়ি করবেন না। এখনকার বাচ্চারা যে খেতে চায় না। তার জন্য সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে একটা কারণ। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আট দশ বারো ভাইবোনের কম কোন পরিবারিক দেখা যেত না কিন্ত তখন খাওয়া নিয়ে কোন সমস্যাই ছিল না বরং এখনকার মতো এতো মুখরোচক নানা ধরনের শিশুখাদ্যের সমাহারও তখন ছিল না। তখন সমস্যা হতো না কারণ অনেক ভাই-বোন একজন না খেলে অন্যজন খেয়ে নেবে।

আর মায়েরাও তখন খাবার নিয়ে পিছে পিছে দৌড়াতে না কারণ পরিবার ২৫ জনের বিশাল সংসারে তাদের ব্যস্ত থাকার জন্য আরো অনেক কাজ ছিল। কিন্তু এখন হয়তো একটি সন্তান বড় দুটি মায়ের তো আর কোন কাজ নেই। তাই একজন দুজন কে আগলে রাখা ছাড়া অতএব সবকিছুর সাথেই আছে মা আর বাচ্চাও বুঝে আমি যতক্ষণ না খাব ততক্ষণ আমার মা আমার সাথে থাকবে ।তার ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের একটা সুযোগ। তাই খাবার নিয়ে জোরাজুরি না করে বরং ছেড়ে দিন খেলে খাও না খেলে না খাও। দেখবেন ক্ষুধা লাগলে এমনি খাবে।

তাছাড়া এসব ক্ষেত্রে আমাদের সাজেশন খুব সহজ সন্তানকে কমান্ড সেন্টারে এনে. বোঝান।

সেরাদের বাচ্চার ঘুমের সময় মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে অটোসাজেশন দেবেন তুমি খুব ভালো ,খাবার দিলেই খেয়ে ফেলো।

তুমি সময় মত গভীর ভাবে ঘুমাও অংক তুমি খুব ভালো পারো অর্থাৎ যে বিষয়গুলো তার মেধাকে বিকশিত করবে সেগুলো বলতে থাকবেন কারণ বাচ্চা যখন ঘুমোতে নেয় তখন সে কিছু সময় আলফা লেভেলে থাকে তার ঘুমালেও কান এবং ব্রেন সজাগ থাকে তাই আপনার দেয়া ভালো ভালো মেসেজগুলো তারপরে নিয়ে প্রবেশ করে ।আপনার সন্তান যা যা করলে ভালো হবে তাকে দিয়ে আপনি যে কাজগুলো করাতে চান তার ঘুমের সময় এই কথাগুলোই বলবেন।

কিন্তু সেটা আবার বাস্তবে এমনি লেভেলে বলবেন না এবং সেটার জন্য চাপ প্রয়োগ করবেন না এভাবে একদিন দুইদিন তিনদিন চারদিন বলতে থাকেন। তখন যে বিষয়ের কথা আপনি বলছেন সেটার প্রতি তার আগ্রহ হবে আস্তে আস্তে তার প্রেমে ইতিবাচক প্রোগ্রামগুলো যেতে থাকবে।

SCAN TO VIEW

OUR OFFICES