পিতা-মাতা-সন্তান এর কাছে অসহায়
সন্তানদের কাছে বড় অসহায় যা চাইবো দিতে হবে যা বলবে সব মেনে নিতে হবে ।সন্তানের সাথে সুন্দর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে আমরা কি করবো ?
সমস্যাটা আসলে সন্তান সম্পর্কিত প্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি সন্তান এবং আমার সম্পর্কটা এখন কি আমরা যদি সহজভাবে বলি একজন রিকুইজেশন দেয়। আর একজন সাপ্লাই করে অর্থাৎ রিকুইজিশন দেয় যে বাবা-মা সাপ্লাই করে অর্থাৎ সন্তানের সাথে সম্পর্কটা যখন একাত্মতা অবস্থাপন্ন সীমাবদ্ধ থাকেনি ।সন্তানদের ভবিষ্যত সেটা বুঝাতে পারবো নিজের কাজের সঙ্গে একাত্ম করতে পারছেন না এখনকার মেয়েরা কেন কারণ পারিপার্শ্বিকতা থেকে সন্তান এমন একটা দৃষ্টিভঙ্গি পাচ্ছে যে তুমি জন্ম দিয়েছে অথচ দায়িত্ব তোমার। তোমাকে দিতে হবে যেন জন্ম দিয়ে মা বাবা অপরাধ করেছে।
আরো অনেক ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গির জন্য মা-বাবাই দায়ী ছোটবেলা থেকে আল্লাহর দিতে দিতে চাওয়া মাত্র পাওয়ার অভ্যাস করাতে করাতে মাদ্রাসার শুধু তাকে অবহিত করেছেন দিতে নয়।
করণ মা-বাবা হয়তো ভেবেছে ,করেছে এটার জন্য দিয়ে দাও। শান্ত করো কিন্তু বাস্তবে কি হয়েছে তার চাহিদা দিনকে দিন বেড়েছে কারণ একজন মানুষ যখন সহজে সবকিছু পেয়ে যায় তখন আর তৃপ্তি থাকে না।
আসার সময় পেয়ে অভ্যস্ত হতে হতে এসে দিতে শিখেনি ।এমনকি তার মা-বাবার প্রতি তো করার কিছু আছে তা কিন্তু উপলব্ধি করেনি। মা-বাবার প্রতি তার কোন অনুভূতিও গড়ে ওঠেনি ।এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সন্তানকে মনোযোগ দিতে হবে। তাকে কোয়ালিটি সময় দিতে হবে বোঝাতে হবে। তাকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন আছে আপনি আপনার জীবনে যে কাজগুলো করতে পারেননি অর্থাৎ আপনার ক্ষমতা অপারগতার কাজগুলো সে করুক আপনি সেটা চান।
সন্তানকে নিয়ে ভ্রমন করুন যেসব জায়গায় আপনি বা আপনারা যান। সুযোগ থাকলে সে রকম সব জায়গায় সন্তানকে নিয়ে যান আপনার সন্তানের সাথে সম্পর্কটা যত আন্তরিকভাবে অসৎ মনোযোগটা বেশি হবে। তত সন্তানের সাথে আপনার সম্পর্ক সৃষ্টি হবে এবং সন্তান স্বাভাবিকভাবে আপনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে আপনার সাথে ঘনিষ্ঠ হবে আপনাকে ভালোবাসবে আপনাকে বিশ্বাস করবে আপনার উপর আস্থা আসবে।
সেইসাথে সন্তানকে পরিবারের অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে আমাদের এখনকার মা-বাবারা কিন্তু সন্তানকে পরিবারের অংশ হিসেবে বড় করতে বাধ্য হচ্ছেন। লেখাপড়া নানারকম এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস ইত্যাদির কারণে এখনকার বাচ্চারা পরিবারের সাথে কোন সময় কাটায় নাপাসার কোন কাজ থাকে বাবা করতে দেন না সংসার কিভাবে চলে বাজার কি হয় বাসায় কেউ এলো কিনা এসব কোন কিছুই সে জানেনা তাকে জানানো হয় না।
আবার সন্তানের স্বাধীন ব্যক্তিত্ব বিকাশ হবে এই যুক্তিতে আজকালকার মাহবুব আরা সন্তানকে আলাদা রুম দেন কি হয় তার পরিণতি?
শেয়ার ও বিচ্ছিন্ন হয় পরিবারের সদস্যদের সাথে তার সংযোগ আরো কমে যায়। আরো বেড়ে যায় অনৈতিক হওয়ার সুযোগ কারণ একজন কিশোরগঞ্জ একজন তরুণ যখন রুমে দরজা বন্ধ করে ভেতরে স্মার্টফোন কম্পিউটারে ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত তখন শতকরা 99 ভাগ সম্ভাবনা হচ্ছে এমন কিছু দেখছে বা করছে সঙ্গত নয়।
অথচ আমাদের সময় আমরা হয়তো এক চোখেতে তিন চারজন একসাথে ঘুমিয়েছি আমাদের মধ্যে ঝগড়া যেমন ছিল গলাগলি হচ্ছিল আমরা বেড়ে উঠেছিলাম। পরিবারের অংশ হিসেবে পরিবারকে আমরা অনুভব করেছি কিন্তু এখনকার সন্তানেরা কি পরিবারের জন্য অনুভব করে ভাই-বোনদের জন্য অনুরোধ করে করে না কারণ অনুভব করার জন্য যে ন্যূনতম দেখা-সাক্ষাৎ হওয়া দরকার। আলাদা আলাদা রুম নিয়ে থাকার কারণে তো সেটা হচ্ছে না।
অর্থাৎ সন্তানকে আলাদা রুম দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ না ।গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সন্তানকে সহমর্মিতা দেয়া সঙ্গ দেয়া তাদের পরিবারের অংশ হিসেবে বড় করার পরিবারের যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বয়স অনুসারে তাকে সম্পৃক্তকরণ।পরিবারের তারও একটা পরীক্ষা আছে ছাড়ো কিছু করার আছে এই অনুভূতি টা দিন সহ্য করতে পারে ছোটবেলা থেকেই কাজের সাথে একাত্ম রাখুন তাহলে সন্তান নিজেকে পরিবারের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ করতে পারবে ।শহরের মানুষ হবে পরিবার সমাজ ও দেশের জন্য হয়ে উঠছে সত্যিকারে সম্পদ।
দুই নম্বর হচ্ছে সন্তান কথা না শুনলে আমরা তার উপর সাংঘাতিকভাবে বিরক্ত হয়ে যায়। কারণ আমরা দূরে নিজের সন্তান আমার কথা শুনবে ।এরপর আমাদের সম্পর্কটা হয়ে যায় বিরক্তির যখনই আপনি বিরক্ত হয়ে গেলেন আপনি তাকে আর বুঝাতে পারবেন না।