যেভাবে মা বাবার হৃদয় জয় করবেন !
মা-বাবা আল্লাহর দেয়া পৃথিবীর সেরা উপহার । সন্তানের প্রতি মা-বাবার ভালোবাসা হচ্ছে নিখাদ ভালোবাসা। শিশু-সন্তানের প্রতিপালোনের জন্য আল্লাহ মা বাবার মনে এ ভালোবাসা দান করেছেন। আর এর কারোনেই তারা সন্তানের জন্য কষ্ট করেন। কোন ধরনের বিরক্ত হন না। সন্তানের প্রতি স্নেহ-মমতার কারনে কত রাত জেগে কাটিয়ে দেন মা-বাবা।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরানে ঘোষনা করছেন -
তোমার পালন কর্তা আদেশ করেছেন তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যব্যবহার কর। তাদের মধ্য কোন একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয় ; তবে তাদেকে ‘উহ’ শব্দ টিও বলো না, তাদের কে ধমক দিও না আর তাদের সাথে শিষ্টাচারপূর্ন কথা বলো। তাদের সামনে ভালোবাসার সাথে, নম্র ভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলো হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম করো, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন পালন করেছেন।’ [ সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত ২৩-২৪ ]
তাই আমাদের সবার উচিৎ এই মা-বাবাকে ভালোবাসা, তাদের প্রতি যত্নবান হওয়া তাদের কে আগলে রাখা এবং তাদের মনকে খুশি করা ও তাদের হৃদয়কে জয় করা। তাহলেই মহান আল্লাহ আমাদের উপর খুশি হয়ে যাবেন।
কিভাবে মা-বাবার হৃদয় কে জয় করা যায় ?
মা-বাবার হৃদয় কে সহজে জয় করার জন্য কিছু ভালো দিক নিচে আলোচনা করা হলোঃ
১. মা বাবার হৃদয় জয় করতে হলে প্রথমে আপনার মা বাবার সাথে যোগাযোগ এবং সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
২. আপনার মা বাবা একটি সমস্যার সমাধানে নিজেদের সাহায্য করতে পারেন যদি আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের পাশে থাকেন।
৩. আপনি তাদের কথা শুনতে পারেন এবং তাদের চিন্তাভাবনা বুঝতে পারেন। আপনি তাদের সাথে প্রতিদিন সময় কাটাতে পারেন এবং তাদের প্রশ্নগুলির জবাব দিতে পারেন।
৪. আপনি তাদের জীবনের উন্নয়ন ও সমস্যাগুলি বুঝতে পারেন এবং তাদের সাথে প্রতিদিন কথা বলার মাধ্যমে তাদের হৃদয় জয় করতে পারেন।
৫. আপনি তাদের সাথে জীবনের উপহার সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন এবং তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলি জানতে পারেন। তাদের সাথে সময় কাটানো একটি ভাল উপায় যাতে তাদের সমস্যার সমাধান করা যায়।
গভীর ভাবে চিন্তা করুন মা-বাবার প্রতিঃ
মা-বাবা বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের কাছে কোন ধন-দৌলত বা সোনা দানা চান না, বরং তারা চান সন্তানের কাছে পরম মমতা ও ভালোবাসা মাখা একটু চাহনি, একটু আশ্রয় । যদিও মা-বাবা তাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে সন্তানদের লালন পালন করেন এবং লেখা পড়া শিখিয়ে মানুষ করেন নিঃস্বার্থভাবে । কিন্তু বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা এসব সন্তান্দের এতোটাই আধুনিক করে ফেলতেছে যে,তারা নিজেদের আত্নপরিচয় পর্যন্ত ভুলে যেতে বসেছে । তাই সন্তানরা বড়ো হয়ে নিজেদের— মহাপন্ডিত মনে করে অবজ্ঞা করে নিজের সহজ সরল মা বাবাকে।